প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘রাজসাক্ষী’ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এ বার সেই কল্যাণময়ের বিরুদ্ধেই আদালতে সাক্ষ্য দিলেন তাঁর মামা, যিনি সম্পর্কে পার্থের বেয়াই হন। তিনি আদালতে জানান, ভাগ্নে কল্যাণময়ের কথায়, তাঁকে বিশ্বাস করেই সংস্থার নথিতে সই করেছিলেন!
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে পাঁচটি এমন সংস্থার হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা, যেগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কল্যাণময়ের মামা। তার মধ্যে দু’টি সংস্থার ডিরেক্টর পদেও ছিলেন তিনি। সোমবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে পার্থের বেয়াই দাবি করেন, ডিরেক্টর হওয়া সত্ত্বেও সংস্থার সব কাগজপত্র খুঁটিয়ে না পড়েই সই করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন কল্যাণময়কে। তাই ভাগ্নে যেখানে বলতেন, সেখানেই সই করে দিতেন।
তদন্তে নেমে পার্থের বেয়াইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক দলিলের ‘ফোটোকপি’ উদ্ধার করেছিল ইডি। শুধু তা-ই নয়, তদন্তে বেশ কয়েকটি সংস্থারও নাম উঠে এসেছিল। তদন্তকারী সূত্রে দাবি, ওই সংস্থার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কল্যাণময়ের মামার বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। এ বার তিনি বিচার ভবনে সাক্ষী দিলেন।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, পার্থের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হন তাঁর জামাই কল্যাণময়। এই মামলায় পার্থের সঙ্গে অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন তিনিও। তবে রাজসাক্ষী হওয়ার পর কল্যাণময়কে অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। আমেরিকা প্রবাসী কল্যাণময় এখন কলকাতায়। গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতে পেশ করতে চাইছেন বলে আইনজীবী মারফত আবেদন করেছিলেন কল্যাণময়। বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুরও করেন। কিন্তু এ বার নিয়োগ মামলায় সেই কল্যাণময়ের দিকেই আঙুল তুললেন তাঁর মামা।