Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষানীতি নিয়ে সবাই মিলে নামব পথে: পার্থ

বৈঠক শেষে পার্থবাবু বলেন, ‘‘এই সংগঠনগুলো আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন হলে আমরা সকলে রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করব।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩১
Share: Save:

হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো হয়েছেই। তা ছাড়াও কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন অংশ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সংগঠন ও সরকারি আধিকারিকদের আপত্তি আছে। সোমবার বিকাশ ভবনে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সংগঠন ও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

বৈঠক শেষে পার্থবাবু বলেন, ‘‘এই সংগঠনগুলো আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন হলে আমরা সকলে রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করব।’’ শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষানীতি নিয়ে ১৭ জুলাই, বুধবার বিকাশ ভবনে উচ্চশিক্ষা সংসদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। সেখানে আলোচনা হবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্র তাঁদের না-জানিয়ে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করার চিঠি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। কেউ কেউ না-জেনে কেন্দ্রের কথামতো বিভিন্ন বিষয় পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করছেন। পার্থবাবু বলেছেন, ‘‘আমাদের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয়কে যা করার করতে হবে।’’ মন্ত্রী জানান, পাঠ্যক্রমে দেখা যাচ্ছে, স্নাতকোত্তর ইংরেজি পাঠ্যক্রমে মহাভারত, শকুন্তলা পড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কোন সময়ে কী পড়ানো হবে, বিশ্ববিদ্যালয় সেটা ভাল করে বুঝে নিয়ে তবেই যাতে অনুমতি দেয়, তা দেখতে হবে শিক্ষা দফতরকে।

পার্থবাবুর অভিযোগ, জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় বাংলাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এমনকি বিদ্যাসাগর এবং রামমোহনেরও নাম নেই। এই রাজ্যের কোনও শিক্ষাবিদ বা শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে কথা না-বলেই এই শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে সকলেই এর প্রতিবাদ করেছেন।

বেশ কয়েক জন শিক্ষাবিদ এ দিন জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পবিত্র সরকারও। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতিতে পাঁচটি ভাষা পড়ার কথা বলা হয়েছে। এটা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে চাপ হয়ে যাবে। আমরা চাই তিনটি ভাষা থাকুক।’’ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী বলেন, ‘‘শিক্ষানীতি নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। সব মানা সম্ভব নয়। যে-সব বিষয়ে আমাদের অমত আছে, সেগুলো লিখিত ভাবে সরকারকে দিচ্ছি।’’ এবিটিএ-র রাজ্য সম্পাদক সুকুমার পাইন জানান, তাঁরাও এই শিক্ষানীতির বিরোধিতা করছেন। ‘‘এই খসড়ায় সিমেস্টারের বিষয়ে যা বলা হয়েছে, আমরা তার বিরোধী। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা অবশ্যই থাকতে হবে,’’ বলেন সুকুমারবাবু।

অন্য বিষয়গুলি:

Partha Chatterjee Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy