শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
রাজ্য সরকারকে এ বার ‘ধৈর্যের বাঁধ’ ভেঙে যাওয়ার হুমকি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই হুমকি নস্যাৎ করে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা জানিয়ে দেন, রাজ্যপালের ধৈর্য ভাঙল কি না, তাতে রাজ্যবাসীর কিছু আসে যায় না। রাজ্যপালের ক্রমাগত এ ধরনের মন্তব্যে রাজ্যের মানুষেরও কিন্তু ক্ষোভ বাড়ছে।
শনিবার রাজভবনে সাংবাদিকদের ডেকে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘তিন-চার মাস ধরে আমি ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। এটা আমার দুর্বলতা বা মেরুদণ্ডহীনতা বলে ধরে নেবেন না। আমারও ধৈর্যের সীমা আছে। এ বার তা ভেঙে যাবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন অফিসে চেয়ারে না-বসে বেশি সময় রাস্তায় থাকছেন, তা নিয়েও কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে মমতা নাগাড়ে মিছিল এবং সভা শুরু করার দিনেই ধনখড় টুইট করে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর এই পথে নামাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এ দিন তাঁর বক্তব্যের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার ভয় দেখাচ্ছেন কাকে? কে ও সব পরোয়া করে? একটি নির্বাচিত সরকার ও তার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ক্রমাগত উনি যে ভাবে রাজভবনে বসে রাজনীতি করে চলেছেন, তাতে বাংলার মানুষেরই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। এটা ওঁর মনে রাখা ভাল।’’
মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে রাজ্যপালের কটাক্ষের সমালোচনা করে পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু রাজ্যপালের স্কুলের ছাত্রী নন যে, ওঁর হুকুম মেনে উঠতে-বসতে হবে! রাজ্যপালের জেনে রাখা উচিত, তিনি কেন্দ্রের মনোনীত। আর মমতা দু’-দু’বার জনগণের বিপুল সমর্থনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তার আগে সাত বারের সাংসদ।’’ এর পরেই পাল্টা জনবিক্ষোভের ইঙ্গিত দিয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘‘দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে রাজ্যপাল যে ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য প্রতিদিন করে চলেছেন, তা কোনও রুচিশীল ব্যক্তির পক্ষে শোভা পায় না। রাজ্যপালের পদের জন্যও তা অসম্মানজনক। রাজ্যবাসী এ সব ভাল চোখে দেখছে না। আশা করি রাজ্যপাল নিজেকে সংযত করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy