এই বাড়িতেই থাকেন নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চম্পা বৈরাগী। — নিজস্ব চিত্র।
দোতলা বাড়িতে থাকেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং তাঁর স্বামী। কিন্তু প্রধানের স্বামীর নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চম্পা বৈরাগীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, চম্পার স্বামী পলাশ বৈরাগীর নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। এ নিয়ে তদন্ত চেয়ে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে গেরুয়াশিবির। যদিও প্রধান জানিয়েছেন, তিনি ওই যোজনা থেকে বাড়ি নিতে চান না।
মঙ্গলবার দুপুরে আবাস যোজনার তালিকা ধরে সমীক্ষা শুরু হয়েছে নারায়ণপুর গ্রামে। এর পরেই বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই তালিকায় নাম রয়েছে পলাশের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাশ পেশায় মাছের ব্যবসায়ী। পলাশ এবং চম্পা একটি দোতলা বাড়িতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা সরস্বতী প্রধান বলেন, ‘‘আমপানের পর মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। অসহায় হয়ে মেয়েকে নিয়ে এখনও ত্রিপলের নীচে থাকছি। এখনও কোনও সাহায্য পাইনি। অথচ পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েতের লোকজন সরকারি ঘর নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কী ভাবে প্রধানের স্বামীর নাম থাকল তা ভাবতে পারছি না।’’
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফে নামখানার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য অভিযোগ করেন, ‘‘আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি করছে তৃণমূল। গরিবরা ঘর পাচ্ছেন না। আর তৃণমূল নেতারা সেই তালিকায় নিজেদের নাম ঢুকিয়ে রাখছে। মানুষ সব দেখছেন।’’
যদিও প্রধান জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে তাঁর বাড়িটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে গিয়েছিল। পরে তিনি এই বাড়ি তৈরি করেন। তিনি আবাস যোজনা থেকে বাড়ি নিতে চান না বলেও জানিয়েছেন চম্পা। এ নিয়ে নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং পুলিশ গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমীক্ষা করছে। যাঁদের পাকা বাড়ি থাকার সত্ত্বেও আবাস যোজনায় নাম রয়েছে, সেই নাম বাতিল করা হবে।’’
জনপ্রতিনিধির নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে মালদহের চাঁচলেও। চাঁচল ২ পঞ্চায়েত সমিতির বন এবং ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল হাইয়ের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি চাঁচল-২ ব্লকের তেলাইগাছি এলাকারা বাসিন্দা। পেশায় কৃষিজীবী। আব্দুলের অবশ্য দাবি, কেউ ষড়যন্ত্র করে তাঁর নাম ওই তালিকায় ঢুকিয়েছে। ওই ঘর তিনি চান না বলেও জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy