অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
গত বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছিলেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিল ‘চড়াম চড়াম’ ঢাকের কথা বা ‘গুড় বাতাসা’ দেওয়ার ‘আশ্বাস’। সেই আবহে বীরভূমে কার্যত ভোটই হয়নি। আজ, শনিবার আর একটি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেষ্টর সঙ্গে নেই তাঁর তৈরি শব্দবন্ধগুলি। কিন্তু শোনা না গেলেও তলে তলে কি সে সব রয়ে গিয়েছে? তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের একাংশ জানিয়েছে, শনিবার ভোট করানোর কিছু ‘কৌশল’ এর মধ্যেই নেওয়া হয়েছে।
যদিও সে-কথা মানতে নারাজ জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ভোটের দিন কোনও ঝামেলা হলে দায় সেই এলাকার নেতা-কর্মীদের— এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দলের সব স্তরে। যা শুনে কটাক্ষ ছুড়ছে বিরোধীরা। কারণ, এ বারেও অনুব্রত-হীন বীরভূমে ভোটের আগেই পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি পেয়ে গিয়েছে শাসক দল।
তার পরেও যদিও বহু আসনেই লড়াই হচ্ছে। একই সঙ্গে বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই ভোটে ১০০ শতাংশ আসন জিততে হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ‘নবজোয়ার যাত্রা’য় এসে সব আসন জেতার ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলে ভোট কতটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে, প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের। বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক কিছুটা অনুব্রতের ঢঙেই বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘...যদি কেউ খেলতে আসে কোনও অঞ্চলে, কোনও বুথে, কোনও পাড়াতে, কোন ঘরে, কী খেলাটা দরকার সেটা আমরা জানি।’’
বিরোধীদের দাবি, শনিবার সব বুথে এজেন্ট বসাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে তাঁরা আশঙ্কায়। জেলা তৃণমূলের এক নেতাও মানছেন, প্রথমে ভেবেছিলেন বিরোধীরা এত প্রার্থী দিতে পারবে না। তাঁর কথায়, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়ার ছবিটা দেখে বোঝা গেল, অবস্থা এ বার অনেকটাই আলাদা। ফলে, আজ ভোট করাতে হবে আমাদের।’’ ভোটের দিন দুপুরের পরে কিছু ‘বিশেষ কৌশল’ নেওয়া হয়েছে, খবর দলের বিশ্বস্ত সূত্রে।
অনুব্রতের মতো করেই বোলপুর জেলা পার্টি অফিস থেকে ভোট পরিচালনা করবেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরবেন। কোর কমিটির আর এক সদস্য কাজল শেখের উপরে ‘বাড়তি’ দায়িত্ব থাকছে বলে সূত্রের খবর।
বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “অনুব্রত নেই বলে সন্ত্রাস কমে গিয়েছে, এমন ভাবার কারণ নেই।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “অন্য কেউ অনুব্রতের কাজ করবেন।’’ বিকাশ পাল্টা বলেন, “বিরোধীরা প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পেয়েছেন, এটাই সব থেকে বড় গণতন্ত্র। শুধু মুখে সন্ত্রাস বললেই হবে না। তার প্রমাণ দিতে হবে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy