সন্ন্যাস নিয়ে চৈতন্য চলে যাওয়ার পরে বিষ্ণুপ্রিয়া বাকি জীবন তাঁর পাদুকা পুজো করতেন। অনুমান করা হয়, সেই খড়মই রাখা রয়েছে নবদ্বীপে বিষ্ণুপ্রিয়া সেবিত মহাপ্রভু মন্দিরে। সেখানে থেকে ওই পাদুকাই এ বার যাচ্ছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।
এর আগে ১৯৬৪ সালে দোল পূর্ণিমার আগে একটি গোটা ট্রেন ভাড়া করে এই খড়ম নবদ্বীপ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বারাসতে ‘শ্রী অমিয় নিমাই চরিত’-এর লেখক শিশিরকুমার ঘোষের বাসভবন শিশির কুঞ্জে। নবদ্বীপের প্রবীণেরা দাবি করেছেন, সাড়ে চারশো বছরের রীতি ভেঙে সেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন শিশিরকুমারের পৌত্র চৈতন্যভক্ত তরুণকান্তি ঘোষ। কিন্তু সেই পাদুকা দেশের বাইরে যাচ্ছে এই প্রথম।
মঙ্গলবার ১২ জুন সকালে চৈতন্যের সেই পাদুকা তাঁর জন্মভূমি নবদ্বীপ থেকে যাত্রা করছে তাঁর পিতৃভুমির পথে। ভারত ইতিহাসের সম্পদ ওই পাদুকার বাংলাদেশ যাত্রা ঘিরে তাই এখন সাজ সাজ রব। নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, ‘হরিভক্তি প্রচারিণী সভা’র বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শাখার আয়োজনে ১২ থেকে ১৫ জুন মহোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই উপলক্ষে বাংলাদেশের চৈতন্য ভক্তদের ওই পাদুকা প্রদর্শনের জন্য তা বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে ওই পাদুকার মহাভিষেক এবং সেবাপুজো হবে। সমিতির সম্পাদক জয়ন্তকুমার গোস্বামী জানান, “তিন দিন চট্টগ্রামে কাটিয়ে ১৫ জুন শুক্রবার সকালে ফিরিয়ে আনা হবে পাদুকা। ওই তিন দিন চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে থাকবে মহাপ্রভুর চরণপাদুকা।”
তরুণকান্তি মহাপ্রভু মন্দিরে এসে ওই পাদুকা দেখতে গিয়ে জানতে পেরেছিলেন, সেটি কোষাগারে রাখা থাকে। সেবা সমিতির কোষাধ্যক্ষ পুলক গোস্বামী জানান, “তরুণবাবু বেশ কয়েক কেজি রুপো দিয়ে তালাবন্ধ একটি সিংহাসন করিয়ে দেন। যার মধ্যে খড়মের আকারের রুপোর তৈরি পাত্রে রাখা আছে ওই পাদুকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy