ব্যস্ততা: ট্রেন চালুর সরকারি নির্দেশিকা আসার পরে রায়গঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম রং করার কাজে তোড়জোড়। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে রাধিকাপুর থেকে সকালে কলকাতাগামী ট্রেন চালুর নির্দেশিকা হাতে পেলেন রায়গঞ্জ স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে রেলবোর্ডের তরফে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মাধ্যমে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন।
রেল সূত্রে খবর, নতুন কোনও ট্রেন চালু করা হচ্ছে না। হাওড়া-সিউড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেই রাধিকাপুর থেকে চালানো হবে। রায়গঞ্জ স্টেশনের ম্যানেজার রাজু কুমার জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হাওড়া-সিউড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টায় রাধিকাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ স্টেশন হয়ে রাত ১১টা নাগাদ হাওড়ায় পৌঁছবে। আর প্রতিদিন সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ওই ট্রেন হাওড়া থেকে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ হয়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে রাধিকাপুরে পৌঁছবে। ট্রেন চালুর ঘোষণায় খুশি হলেও ওই ট্রেনের ছাড়ার সময় নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে ক্ষোভ।
রায়গঞ্জের তৃণমূলের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল—প্রত্যেকেরই বক্তব্য, রায়গঞ্জের বাসিন্দারা সকালে কলকাতাগামী ট্রেন চালু করার দাবি করেছিলেন। কিন্তু যে ট্রেনটি চালু হচ্ছে তাতে আদৌ বাসিন্দাদের সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হয় না। কারণ, ওই ট্রেন রাত ১১টায় হাওড়ায় পৌঁছবে। ফলে মহকুমার বাসিন্দারা কলকাতায় যে দিন পৌঁছচ্ছেন সে দিন কোনও কাজই করতে পারবেন না। রাতে কোথাও থেকে পরদিন কাজ করতে হবে। তাই সমস্যা যে তিমির ছিল সেই তিমিরেই রইল বলেই দাবি তাঁদের প্রত্যেকেরই। বরং অত রাতে হাওড়া পৌঁছে তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার যাত্রিবাহী গাড়ি ও থাকার হোটেল খুঁজতে হবে, যাতে খরচও বাড়বে অনেকটাই।
রায়গঞ্জ মহকুমা থেকে সকালে কলকাতা যাওয়ার কোনও ট্রেন নেই। দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি জানাচ্ছিল। এ অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী দাবি করেন, যে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাধিকাপুর থেকে সকালে কলকাতা যাওয়ার একটি ট্রেন চালু করা হবে। পরে ভিডিয়ো বার্তাতেও সেই দাবি করেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও।
বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর বক্তব্য, ‘‘দেবশ্রী চৌধুরী লড়াই করে ট্রেনটি চালু করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরাও চাই রাধিকাপুর থেকে খুব সকালে ওই ট্রেনটি ছাড়ুক। আশা করছি, দেবশ্রীদির উদ্যোগে সে সমস্যারও সমাধান হবে।’’ তিনি জানান, অতীতে অন্য দলের সাংসদরা দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই বিরোধীদের বক্তব্য নিয়ে বিজেপি উদ্বিগ্ন নয়।
সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ স্টেশনে সেই সূচনা অনুষ্ঠানটি হবে। আজ, বুধবার সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্রকুমার বর্মা। এরমধ্যেই ওই ট্রেন চালুকে কেন্দ্র করে রাধিকাপুর, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ স্টেশনের বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও শুরু হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy