অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
গত পঞ্চায়েত ভোটের শেষ দিকে শাসকদলের ‘সন্ত্রাসে’ বীরভূমের অধিকাংশ আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যায়নি বলে দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। এ বার অনুব্রতহীন বীরভূমে শুরুতেই মনোনয়ন জমায় তৎপর হতে দেখা গেল বিরোধীদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বীরভূমে প্রথম দিন তিন স্তরের ১৩০টি আসনে, দ্বিতীয় দিন ৪৯৬টি আসনে মনোনয়ন জমা পড়েছে। সব ক’টিই বিরোধীদের, প্রধানত বিজেপির। তাদের দাবি, এই তৎপরতার নেপথ্যে গত বারের ‘শিক্ষা’। পাছে পরে সমস্যায় পড়তে হয়, সে কথা মাথায় রেখেই দ্রুত কাজ সারা হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকায় তৃণমূলের ‘দাপট’ কম, দাবি বিরোধীদের।
ময়ূরেশ্বর ব্লকে গত বার মনোনয়ন দিতে এসে বাধার মুখে পড়েছিলেন বিরোধীরা। সেখানে শুক্রবার বিজেপি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ইলামবাজার, খয়রাশোল ও দুবরাজপুর ব্লকের একটি আসনেও গত বার প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধীরা। এ বার তাঁরা সেখানেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। জেলার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক, দুবরাজপুরের অনুপ সাহা বলছেন, ‘‘শাসক দল ২০১৮-র পুনরাবৃত্তি চাইছে। সেটা ভেবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
গত বার সিউড়ি মহকুমায় একটি জেলা পরিষদ আসনেও মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বাম-কংগ্রেস জোট। বাম-কংগ্রেস মিলিত ভাবে এ দিন অধিকাংশ জেলা পরিষদের আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসন কী ভূমিকা নেয়, সেটাই দেখার।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলছেন, ‘‘প্রথম দিনই রাজ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে। সে সব মাথায় রেখেই এগোচ্ছি।’’
বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলছেন, ‘‘বিরোধীদের সংগঠন দুর্বল থাকায় গত বার সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। এ বারও সব আসনে প্রার্থী দিতে পারে কি না, দেখা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy