প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে বিজেপি। আবার বিজেপি ও তৃণমূলকে একসঙ্গে নিশানা করছে সিপিএম। আর বাম-বিজেপিকে এক বন্ধনীতে রেখে পাল্টা তোপ দাগছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার এখনও দেরি থাকলেও রাজনৈতিক তরজা চড়ছে।
বালুরঘাটে সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘‘ফেব্রুয়ারিতে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আদালতে মামলা চলছে। পঞ্চায়েত ভোট পিছোতে পারে।’’ তাঁর আরও দাবি, এ বার পঞ্চায়েত ভোট লুট করতে এলে জনগণ তাদের জামাকাপড় খুলে নেবে! দক্ষিণ দিনাজপুরেরই হরিরামপুরে এ দিন বিজেপির বৈঠকে সুকান্তের পরামর্শ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট, রিগিং এ সবের চেষ্টা করবে। তাই বলে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসা যাবে না। পুলিশ ভুয়ো মামলা দিলেও ভয় পেয়ে চলবে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশ্বাস, দল কর্মীদের সব রকম বাবে সহায়তা করবে।
রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মেয়াদ রয়েছে আগামী মে-জুন পর্যন্ত। তবে ফেব্রুয়ারিতে ভোট সেরে নেওয়ার প্রাথমিক আলোচনা সরকারি স্তরে শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে আসন বিন্যাস ও সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সূত্র ধরেই এ দিন পুরুলিয়ায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দাবি করেছেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচন চাইছে না। সাজিয়ে-গুছিয়ে শুভেন্দু আদালতে মামলা করবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সুযোগে বলবেন, আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর প্রয়োজন নেই! জুন-জুলাই মাসে তৃণমূল মণ্ডপ বেঁধে পঞ্চায়েতের কর্মী সম্মেলন করছিল। তার পরেই টাকার পাহাড় বেরোলো। তার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও কথাই উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলছেন না।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে রাজ্যকে আমরা বাধ্য করাব। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন সময়ের মধ্যে করাতে হবে।”
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলছেন, ‘‘বাম ও বিজেপি তো এখন একসঙ্গে আছে, মিছিল করছে। কে কী মামলা করবে, ওরাই ঠিক করে নিক! ধানতলা ধর্ষণ-কাণ্ডে যিনি অভিযুক্ত, তিনি সে দিন রানাঘাটে শুভেন্দুর মঞ্চে ছিলেন। সিপিএম-বিজেপি মিলেমিশেই আছে। ওদের ফাঁকা বুলিতে মানুষের কিছু এসে যায় না।’’
কুণাল রানাঘাটের সভার প্রেক্ষিতে যার দিকে আঙুল তুলেছেন (টুইটে নাম করে), নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সেই আশীষ বরণ উকিলের জবাব, ‘‘ওই মামলায় আমি সাক্ষী। কুণালবাবুর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, উনি পাগলের প্রলাপ বকছেন! আমি ওঁকে চ্যালেঞ্জ করছি, যেটা টুইট করেছেন, তা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব! আর না হলে ওঁকে রাজনীতি ছাড়তে হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy