‘অপমানিত’ স্পিকারের স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব! বিধানসভায় শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা চাইলেন মমতা। ফাইল চিত্র।
রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে সোমবার আরও এক বার উত্তপ্ত হল রাজ্য বিধানসভা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলতে উঠে অভিযোগের সুরে বলেন, “রাজ্যপালকে দিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ানো হচ্ছে।” রাজ্যপালের বক্তব্যে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও ছিল না বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সময় বিজেপি বিধায়করা ‘পিসি চোর, ভাইপো চোর’ স্লোগান তোলেন। তার পর পদ্ম-বিধায়করা স্লোগান দিতে দিতেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান।
স্পিকারের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করেন তিনি। পাল্টা স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা জানান শুভেন্দু। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে জবাবি বক্তব্য রাখতে উঠে শুরুতেই স্পিকারের কাছে ‘শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা’ চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে জানা যায় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। পরে বিধানসভার তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার হয়ে ক্ষমা চাওয়ায় ওই সাপপেনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্পিকার। শুভেন্দু সাসপেন্ড হলে বাজেট অধিবেশনের বাকি পর্বে বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারতেন না। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। পরে তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন।
সোমবার বলতে উঠে শুভেন্দু রাজ্যের ‘সন্ত্রাস’ এবং ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে সরব হন। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা না হলেও তৃণমূল নেতারা হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়েও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় অনুদান হিসাবে পাওয়া অর্থ অন্য খাতে খরচ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের একাধিক বিধায়ক জেলে থাকলেও এ সব প্রসঙ্গ কেন রাজ্যপালের ভাষণে শোনা যায়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরকারি আমলারা বাসভবন পাওয়ার পরেও কেন তাঁদের বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে, তা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
শুভেন্দুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দিনহাটার বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর। পরে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু স্পিকারের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, উনিই (স্পিকার) বিধানসভার গরিমা নষ্ট করেছেন।” তিনি যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সেগুলোর দিকে নজর দিলে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় তদন্তের মুখে পড়তে হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
পরে সাংবাদিক বৈঠকেও রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি, ডিএ আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাঁর বক্তব্য সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকের শেষ লগ্নে হঠাৎই কাগজ খুলে মুখ্যমন্ত্রীর একটি কবিতা পাঠ করে শোনান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy