উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ফাইল চিত্র।
গোটা রাজ্যের মধ্যে যে কেন্দ্র সবার আগে এক লক্ষ নমুনা পরীক্ষার শিরোপা পেয়েছিল, সেখানে এখন দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা নেমেছে ৬০-এ। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে বলে যখন অনেকের আশঙ্কা, যখন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ঢেউ আসতে পারে উত্তরবঙ্গ দিয়ে, তখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে (ভিআরডিএল) নমুনা পরীক্ষার এই হাল দেখে চিকিৎসকেরা চিন্তিত।
চিকিৎসকদের কথায়, আক্রান্তদের যত বেশি চিহ্নিত করা যাবে, ততই সংক্রমণ রোধে পদক্ষেপ করাও সম্ভব। সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের তরফে এর মধ্যেই জেলাগুলিকে ‘কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং’–এর মাধ্যমে সংক্রমণ চিহ্নিত করে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই তা যথাযথ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিশেষ করে ওই কাজের জন্য বেশি সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা সব চেয়ে জরুরি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ভাইরোলজির ল্যাব উত্তরবঙ্গে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগার। এখানে দৈনিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। দ্বিতীয় ঢেউ যখন তুঙ্গে উঠেছিল, তখন কোনও কোনও দিন চার হাজার নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেই সংখ্যা কমতে কমতে দেড়-দু’শোতে এসে ঠেকেছে। এ দিন তা তলানিতে নামে। সূত্রের খবর, মোটে ৬০টি নমুনার পরীক্ষা হয়েছে এ দিন।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-ও। মঙ্গলবার সংগঠনের বৈঠক রয়েছে। আইএমএ-রউত্তরবঙ্গ শাখার সম্পাদক রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সকলের মত নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানানোর ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।’’ ল্যাবের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অরুণাভ সরকার বলেন, ‘‘বেশি করে নমুনা সংগ্রহ করতে বলেছি। তা না হলে উপসর্গহীনদের চিহ্নিত করা যাবে না। এই মুহূর্তে তাঁরাই সব থেকে বিপজ্জনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy