উদ্ধার হওয়া এটিএম কার্ড। নিজস্ব চিত্র।
তদন্ত যত এগোচ্ছে, অনলাইন গেমিং প্রতারণা-কাণ্ডে পেঁয়াজের খোসার মতো একের পর এক পরত খুলছে। এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলা রয়েছেন। তাঁর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
এই প্রতারণা-কাণ্ডের তদন্তে নেমে বুধবার সল্টলেকের একটি অফিসে হানা দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ওই অফিসে গিয়ে রীতিমতো চমকে যান তদন্তকারীরা। অফিসের মধ্যে আস্ত সার্ভার রুমের হদিস মিলেছে। অফিসে কোনও লোক নেই। অথচ সার্ভার, কম্পিউটার চলছে। সব কিছুই হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। ওই অফিসের ম্যানেজার প্রতীক বাজপেয়ীকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও আরও চার জনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতরা হলেন ৩২ বছরের প্রসেনজিৎ সরকার, ৩৭ বছরের শমিত মণ্ডল, ২৮ বছরের সুমা নস্কর, ৩৭ বছরের রাহুল পান। সুমার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ওই মহিলা বেহালার বাসিন্দা। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানকে। এখনও পর্যন্ত এই কারবারে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হল।
পুলিশের দাবি, অনলাইন গেমিং প্রতারণা কারবারে যে অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করা হত, সেই অ্যাকাউন্টগুলির সূত্র ধরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ধৃতরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিতেন।
অন্য দিকে, প্রতারণা-কাণ্ডে দুবাই যোগের সূত্র পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। দুবাই থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতারণার কারবার চালানো হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই কারবারে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের পাশাপাশি আরও এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তিনি শুভজিৎ শ্রীমানি। ওই ব্যক্তি দুবাইয়ে থাকেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বুধবার সল্টলেকের অফিস থেকে ১৯৫২টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তিন হাজার এটিএম কার্ডের হদিস পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৮৩টি ব্যাঙ্ক কিট।
কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি এই প্রতারণা কারবারের তদন্তে নেমে বুধবার কলকাতার একাধিক জায়গায় পৃথক ভাবে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও। উত্তর কলকাতার বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে দক্ষিণের বেহালা-সহ পাঁচটি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং অ্যাপের প্রতারণা-কাণ্ডে আমিরের দু’শোর বেশি অ্যাকাউন্ট ভুয়ো নামে যুক্ত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy