রিয়া দে এবং রমা দে।
জোড়া খুন কাণ্ডে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল আরও এক দুষ্কৃতী।
দুর্গাচক থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের কাছে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে শুকদেব দাস নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি দুর্গাচকের নিউ কলোনিতে। মা-মেয়েকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। হলদিয়ার জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘নদীর তীরে জোড়া অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারে শুকদেব দাস নামে একজনকে ভবানীপুরের ডিঘাসিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে।’’
এর আগে ওই ঘটনায় ধৃত তথা মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হলদিয়ার বাসুদেবপুরে তিন বছর ধরে একটি দোতলা বাড়ির একটি তলা ভাড়া নিয়েছিল। তার ভাড়া ছিল প্রতি মাসে ২,২০০ টাকা। এ দিন ওই বাড়িতে যায় ফরেন্সিক দল। সেখান থেকে মহিলাদের মাথার চুল, অন্তর্বাস এবং চশমার খাপ-সহ আরও অনেক নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করেন ওই দলের সদস্যেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে খুনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সামগ্রীও।
ভাড়া বাড়ি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও পুলিশ একাধিক তথ্য পেয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাড়া বাড়িতে সাদ্দামের সঙ্গে প্রায়ই ওই তরুণী রিয়া এবং তাঁর মা রমা দে এসে থাকতেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে রিয়া এবং রমা সাদ্দামের ওই ভাড়া বাড়িতে এসেছিলেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু প্রায় বছর দুয়েক ধরে ওই বাড়িতে যাতায়াত করায় কোনও সন্দেহ হয়নি স্থানীয়দের। ওই দিনই রিয়া এলাকার একটি দোকানে মিষ্টি কিনতে গিয়েছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘কোথাও কোনওরকম গন্ডগোল চোখে পড়েনি। মা-মেয়ের মধ্যেও কোনওরকম অস্বাভাবিকতা ছিল না।’’
বাড়ির মালিক অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুলিশ জানাচ্ছে, গত সোমবার রাতে রিয়া ও রমার খাবারের সঙ্গে বেশি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়। তা খেয়ে তাঁরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে দেহটি হুগলির তীরে নিয়ে গিয়ে পোড়ানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy