চলছে করোনা টিকাকরণ। ছবি—পিটিআই।
দেশ জুড়ে করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি। তার পর কেটে এক মাসেরও বেশি সময়। মঙ্গলবার পর্যন্ত নথিভুক্ত প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের প্রায় ৪২ শতাংশ টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য ৬০ শতাংশেরও বেশি করোনা যোদ্ধাদের টিকা দিয়েছে। তবে অনেক রাজ্য এই টিকা প্রদানে এখনও বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব-সহ এ রকম ৫টি রাজ্যকে মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রথম সারির যোদ্ধাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করার জন্য জানানো হয়েছে সেখানে। দেশের কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকাকরণে আরও জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র।
টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি অবধি ১ কোটি ২০ লক্ষ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ লক্ষ ৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪১ লক্ষ ১ হাজার প্রথম সারির অন্য করোনা যোদ্ধা এখনও অবধি টিকা পেয়েছেন। হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ, তেলঙ্গানা, রাজস্থান, গুজরাত এবং ত্রিপুরা-সহ ১০টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত এলাকায় টিকাকরণ হয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি।
টিকাকরণ আরও দ্রুত করার জন্য মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়কে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এ রাজ্যগুলির বেশ কয়েকটি জেলায় গত ক’দিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। ওই সব এলাকায় টিকাকরণ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। যেমন মহারাষ্ট্রের পুণে, নাগপুর, মুম্বই, অমরাবতী, ঠাণে এবং আকোলা জেলাতে সংক্রমণ হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একইভাবে মধ্যপ্রদেশের ইনদওর, ভোপাল এবং বেতুল জেলার কোভিড পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। একই ভাবে পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জেলায় দ্রুত বেশি সংখ্যক টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এই সব জেলাতে স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের যত দ্রুত সম্ভব টিকা দিতে হবে। বেশি সংখ্যক কর্মীকে টিকাকরণের আওতায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিন বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্য এবং প্রথম সারির কর্মীদের কোভিড টিকা দেওয়ার জন্য’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy