আগামী ৩১ মে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাশাসকের দফতরে ধর্না এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি নিতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দীর্ঘ দিন ধরে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে শহিদ মিনারে ধর্না কর্মসূচি চলছে তাঁদের। সেই ধর্নার আঁচ গিয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতে। এ বার সব জেলার জেলাশাসকদের দফতরে তাঁরা ধর্না দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে এ বার আর শুধুমাত্র ডিএ-র দাবিতে এই ধর্না কর্মসূচি নয়। এ বারের ধর্না কর্মসূচি হবে সদ্য প্রকাশিত সরকারি দু’টি নির্দেশিকার প্রতিবাদে।
প্রসঙ্গত, শনিবার নবান্ন থেকে জোড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অর্থ দফতর জানিয়ে দেয়, অফিসের কাজের সময় অন্য কোনও কর্মসূচি বরদাস্ত করবে না সরকার। এমনকি, মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতেও কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা চলবে না। বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন আরও জানায়, উপযুক্ত কারণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বেরোনো যাবে না। বেলা ১টা ৩০ থেকে ২টোর মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতেও অন্য কোনও কর্মসূচি পালন করা চলবে না। অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখে পড়তে হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে। শুধু তা-ই নয়, সে দিন তিনি অফিসে গরহাজির ছিলেন বলেও ধরে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলির অভিযোগ, ন্যায্য অধিকারের দাবিতে কর্মীদের আন্দোলনে রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ করছে সরকার পক্ষ। সোমবার থেকেই মহাকরণ, কলকাতা পুরসভা, খাদ্য ভবন ও নবমহাকরণে পালা করে এই জোড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিরোধিতা করে কর্মচারী সংগঠনগুলি। সেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। এ বার সেই বিক্ষোভ সমাবেশের লক্ষ্য হতে চলেছে জেলা সদর কার্যালয়গুলিই। আর এমন কর্মসূচি ঘোষণায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।