কলকাতায় মিছিল শুরুর দিন। —ফাইল চিত্র।
গত ৬ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে ‘জনচেতনা যাত্রা’ শুরু করেছিল একাধিক বামপন্থী দল ও গণসংগঠন। ‘ফ্যাসিবাদ ও নয়া উদারবাদের বিরুদ্ধে’ শুরু হওয়া সেই যাত্রা ঝাড়খণ্ড, বিহারের নানান জনপদ ছুঁয়ে এখন উত্তরপ্রদেশের দিকে। ২০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে যাত্রা শেষে সভা হবে।
সিপিআইএমএল, মজদুর ক্রান্তি পরিষদ (এমকেপি), পিডিএসএফ, আজাদ গণমোর্চা, শ্রমজীবী নারী মঞ্চের মতো প্রায় ২০টি দল ও গণসংগঠনের উদ্যোগে এই যাত্রা চলছে। উদ্যোক্তাদের অন্যতম তরুণ এমকেপি নেতা অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিকে স্মরণে রেখেই এ মাসের ৬ তারিখ কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল। দেশের সরকারের প্রধান মোদীর কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে। গোটাটাই প্রতীকী।
উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সমাজের সব অংশের মানুষ এই যাত্রায় পা মেলাচ্ছেন। বিভিন্ন জনপদে মিছিল, সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বারাণসীর সমাবেশে বেনারসী শাড়ি যাঁরা বোনেন সেই শ্রমিকেরাও থাকবেন। গোটা পথে রয়েছেন অনেক অসংগঠিক ক্ষেত্রের শ্রমিকও।
‘অতিবাম’ সংগঠন বা তাঁদের কর্মীদের জন্য মোদী থেকে অমিত শাহ একটি শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন— আরবান নকশাল। মোদীর কেন্দ্রে কি বুধবার আরবান নকশালদের সমাবেশ? অরিজিতের কথায়, ‘‘ওটা রাষ্ট্রের উচ্চারিত শব্দ। আমরা সেই শব্দ বলব কেন? বারণসীতে মঙ্গলবার ধর্মনিরপেক্ষ, গণতন্ত্রপ্রিয়, প্রগতিশীল, শ্রমজীবী মানুষের সভা।’’ সন্দেহ নেই, এই দলগুলি ভোটের ময়দানে সে ভাবে দাগ কাটার জায়গায় নেই। মূলধারার বাম দলগুলির সঙ্গেও তাদের দূরত্ব রয়েছে। তার পরেও শুধুমাত্র আদর্শের ভিত্তিতেই মাইলের মাইলের পথ হাঁটছে এই যাত্রা।
এই সংগঠনগুলির মধ্যে অনেকেই বাংলার গত বিধানসভা নির্বাচনে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুলেছিল। এ বার লোকসভা ভোটের আগেও কি মোদীর কেন্দ্র পর্যন্ত যাত্রার মধ্যে দিয়ে তেমন কোনও উদ্যোগ শুরু হল? সংগঠকরা জানাচ্ছেন, এই যৌথ কর্মসূচিতে তেমন কোনও উদ্দেশ্য নেই। এখানে এমন সংগঠনও রয়েছে, যারা বিধানসভা ভোটে তৃণমূল, বিজেপি দু’দলের বিরুদ্ধেই ভোট দেওয়ার আওয়াজ তুলেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy