প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধ। অনেকেরই ‘নজর’ পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এক সহকারী সুপারকে বিষয়টি দেখতেও বলা হয়। তার পরেও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল ৭০ বছরের মানুষটির। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এই ঘটনায় ওই সহ-সুপারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন সুপার।
হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত শনিবার নিজের অফিসে অনেকের উপস্থিতিতে সোমনাথ দাস নামে ওই সহকারী সুপারকে বলেন, ‘‘আপনাকে বলার পরেও কী ভাবে এটা ঘটল?’’ সোমনাথবাবুর জবাব, ‘‘ব্যস্ত ছিলাম। অন্যদের বিষয়টি দেখতে বলি। তাঁরা ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। পুলিশকেও জানাই।’’ প্রবীরবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ নয়, আমাদেরই দেখা দরকার ছিল।’’
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর পান জরুরি বিভাগের ‘ইউডি’ অফিসের সামনে এক বৃদ্ধ পড়ে রয়েছেন। পরনে গেঞ্জি ও রক্তাক্ত লুঙ্গি। মাথায় তেলচিটে বালিশ।
যদিও অন্য রোগীদের পরিজনদের দাবি, বুধবার থেকে ওই জায়গাতেই পড়েছিলেন বৃদ্ধ। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা জানান, শুক্রবার জানতে পেরে সোমনাথবাবুকে ওই বৃদ্ধের খোঁজ নিতে বলেন তিনি। কিন্তু বৃদ্ধের চিকিৎসা শুরু হয়নি। দুপুরে ডাক্তারেরা বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
হাসপাতালের রেজিস্টারে ওই বৃদ্ধকে ভর্তির উল্লেখ নেই বলে দাবি সোমনাথবাবুর। সুপার বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে এমন যাতে না হয়,তা দেখা হবে।’’ শনিবার পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ, তদন্ত বা ‘শাস্তিমূলক’ পদক্ষেপ করা হয়নি। হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘২১ সেপ্টেম্বর রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক। সেখানে সংশ্লিষ্ট সহকারী সুপারকে হাজির থাকতে বলার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy