নুসরত জাহানের উদ্দেশে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
পোস্টারে পোস্টারে এলাকা ছয়লাপ। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘বসিরহাটের এমপি নুসরত জাহান নিখোঁজ, সন্ধান চাই।’ নীচে লেখা, ‘প্রতারিত জনগণ’। কোনও পোস্টারে আবার লেখা হয়েছে, ‘বসিরহাটের এমপি নুসরত জাহান নিখোঁজ, সন্ধান চাই।’ আশ্চর্যের হলেও বেশির ভাগ পোস্টারের নীচে লেখা, ‘প্রচারে তৃণমূল’। বসিরহাটের চাঁপাতলার বিস্তীর্ণ এলাকায় দলীয় সাংসদের নামে এমন পোস্টার দেখতে পেয়ে তৃণমূল তড়িঘড়ি তা ছিঁড়ে ফেলার কৌশল নেয়। তবে দলের একাংশ মেনে নিয়েছে, দলীয় সাংসদকে এলাকায় দেখতে না পাওয়ার কারণেই এই পোস্টার পড়েছে। কে বা কারা ওই পোস্টার লাগিয়েছেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার দেওয়ালে সাঁটিয়েছে কেউ। তবে বিষয়টি তাঁরা নৈতিক ভাবে সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এলাকার বাসিন্দা সামছুর নাহার বিবি বলেন, ‘‘পোস্টারে যে কথা লেখা আছে তা ঠিক। ভোট দেওয়ার পর থেকে ওঁকে আর আমরা গ্রামে দেখতে পাইনি।’’ তাঁর মতো আরও অনেকেরই একই অভিযোগ।
পোস্টার পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকা ঘুরে সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার নির্দেশ দেন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। তাঁর গলাতেও পোস্টারের বক্তব্যকে সমর্থনের সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকে সাংসদ নুসরতকে সাধারণ মানুষ কাছ থেকে পায়নি। সে কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই পোস্টার সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।’’ সাংসদের এলাকায় না আসা নিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে তা-ও তিনি স্বীকার করে নেন।
বিজেপি যদিও বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। পোস্টার প্রসঙ্গে বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, ‘‘সাংসদ টিকটক আর সিনেমার পর্দায় রয়েছেন। তিনি অন্তরাল থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের জন্য কাজ করুন। আসলে তৃণমূলে তাঁর অস্তিত্ব হারিয়ে গিয়েছে।’’
সিপিএমও সুর চড়িয়েছে বিষয়টি নিয়ে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘‘জনগণ সাংসদ নুসরত জাহানকে ভোট দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি। তাঁকে মানুষ দেখতেই পায়নি। তাই তাঁরা এই পোস্টার সাঁটিয়ে নুসরতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy