—নিজস্ব চিত্র।
কাজে ফেরানোর দাবি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে বিক্ষোভে শামিল হলেন এনএসকিউএফ-এর কর্মহারা শিক্ষকদের একাংশ। রবিবার দুপুরে ডেবরা টোল প্লাজার সামনে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ অবরোধও করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজ্য সরকার এজেন্সি দিয়ে কর্মীদের নিয়োগ করার ফলে ৩২০ জন এনএসকিউএফ কর্মী কাজ হারিয়েছেন। পরে ডেবরা থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের দাবি, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন বিষয়। এ নিয়ে রাজ্যের কিছু করার নেই।
ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক বা এনএসকিউএফ-এর শিক্ষকেরা মূলত বৃত্তিমূলক বিষয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি অনলাইনে স্কুলের নানা কাজও করেন। শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, বাংলার শিক্ষা বিষয়ক ই-পোর্টাল বা পেনশন-সহ একাধিক কাজের সঙ্গেও তাঁরা যুক্ত। অভিযোগ, সম্প্রতি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরুর পর থেকেই এনএসকিউএফ শিক্ষকদের ছাঁটাই করছে রাজ্য সরকার। অথচ লকডাউনে সরকারের নির্দেশ অনুসারেই অনলাইন ক্লাস চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষকতা করলেও রাজ্যের তরফে তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রায় ২ হাজার এনএসকিউএফ কর্মী এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যন্ট বৃত্তিমূলক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। রাজ্যের কাছে তাঁদের দাবি, বেসরকারিকরণের বদলে সরাসরি তাঁদের কাজে পুনর্বহাল করা হোক। সেই সঙ্গে ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মতে, ‘‘মানবিক সরকার হলেও তার অমানবিক রূপ দেখা যাচ্ছে। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক ছাঁটাই করে সেগুলিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।’’
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার আওতায় ওঁদের ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই শংসাপত্রও ওঁদের রয়েছে। রাজ্যে এ রকম ২১৮ জন ছিলেন। ট্রেনিং পার্টনারের মাধ্যমে নিয়োগে প্রতি মাসের বদলে ওঁরা কয়েক মাস অন্তর টাকা পান। তবে এটি রাজ্য সরকারের আওতাধীন পরিকল্পনা নয়। ফলে এতে আমাদের কিছু করার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy