প্রতীকী ছবি।
জেল পাহারা দিতে হবে! কিন্তু রক্ষী কই! প্রতি বছর তো অবসর নিচ্ছেন রক্ষীরা। অথচ নিয়োগ থমকে। তবে এ বার রক্ষীর অভাব পূরণ করতে পারেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। সঙ্গে থাকতে পারেন হোমগার্ডও।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৯০০ কারারক্ষীর পদ শূন্য রয়েছে। বছর কয়েক আগে ৭০০ কারারক্ষী নিয়োগের জন্য অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল কারা দফতর। সম্প্রতি দু’দফায় প্রায় ৪২০ জনের নিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে অর্থ দফতর। তবে সেই নিয়োগের জন্য এখনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করেনি পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। কিছুদিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে । নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন, তারপর আবেদনপত্র জমা, সেগুলি বাছাই করা, অ্যাডমিট কার্ড তৈরি, লিখিত পরীক্ষা, শারীরিক সমক্ষতার পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা—সব মিলিয়ে অনেকটাই সময়সাপেক্ষ। কিন্তু অবসর প্রক্রিয়া তো থমকে থাকবে না, সে কারণে জেল পাহারায় রক্ষীর প্রয়োজন রয়েছে বলে মত কারা দফতরের কর্তাদের একাংশের।
এই পরিস্থিতিতে জেল পাহারায় সিভিক ভলান্টিয়ার,
হোমগার্ডকে কাজে লাগাতে চাইছে কারা দফতর। তাদের নিয়োগের জন্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে অনুমোদন চাইছে কারা দফতর। তাদের তরফে স্বরাষ্ট্র দফতর এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে চিঠি পৌঁছছে বলেই খবর। কারণ, একদা অসমারিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীন ছিল হোমগার্ডেরা। বর্তমানে তারা স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। তাই স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমোদন প্রয়োজন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০-৬০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোমগার্ডকে আপাতত নিয়োগ করে পরিস্থিতি সামলাতে চাইছে কারা দফতর বলে প্রশাসনিক মহলের একাংশের খবর।
সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ডেরা জেল পাহারায় কাজ পারবেন! সে প্রসঙ্গে কারা দফতরের কর্তাদের মতে, সংশোধনাগার পাহারায় অনেকগুলি ধাপ রয়েছে। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ডেরা অনায়াসে কাজ করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র দফতর অনুমোদন দিলে তাঁদের জন্য কয়েক মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে নারাজ কারা কর্তারা। এক কর্তার কথায়, ‘‘কোথায় কাকে কীভাবে নিয়োগ করা হবে। এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক বিষয়। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলার নেই। জেলে নিরাপত্তার সঙ্গে এখনও আপোষ করা হয় না। আগামীতেও হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy