প্রতীকী ছবি।
দিল্লির এটিএম থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাহকদের টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠছিল এত দিন। এ বার দেখা যাচ্ছে, বারাসতের এক বাসিন্দার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বারাসতেরই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে! প্রশ্ন উঠছে, এ রাজ্যেও কি ঘাঁটি গেড়েছে জালিয়াতের দল?
পুলিশি সূত্রের খবর, কর্মসূত্রে বারাসতের বাসিন্দা এক মণিপুরী মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার তিন দফায় মোট ১৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বারাসতেরই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে। ওই মহিলা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্ট ও এটিএম কার্ড ‘ব্লক’ করিয়েছেন।
কলকাতায় অন্তত ৭০ জন এটিএম জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা তিন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে। তাদের সঙ্গে রোমানীয় ও তুর্কি নাগরিকদের চেহারার মিল আছে। কোন কোন বিদেশি কবে কেন এ দেশে ঢুকেছেন, দিল্লির ‘ফরেনার রিজিয়োনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস’ থেকে তার সবিস্তার তথ্য জোগাড় করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২৫০ জন রোমানীয় ও তুর্কি নাগরিক এ দেশে ঢুকেছেন। কলকাতার অভিবাসন দফতর থেকেও মহানগরে ঢোকা বিদেশিদের তালিকা পেয়েছে পুলিশ। তদন্তের গোড়াতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে থেকে দুষ্কৃতীদের ছবি পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার আরও কিছু নতুন ছবি হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অভিবাসন দফতর থেকে পাওয়া বিদেশিদের ছবি ও তথ্যের সঙ্গে সেই ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোয়েন্দা-প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘‘সন্দেহভাজনদের ছবি বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। সতর্কতার ব্যবস্থা হয়েছে নেপাল সীমান্তেও।’’ লালবাজারের ব্যাঙ্ক-জালিয়াতি দমন শাখার একটি দল দিল্লিতে সেখানকার পুলিশের সহযোগিতায় বেশ কিছু এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে। টাকা তোলা হয়েছে মূলত দক্ষিণ দিল্লির কয়েকটি এটিএম থেকেই। সেই সব এটিএমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বেশির ভাগ এটিএম-ই অরক্ষিত। তাই এটিএম কাউন্টারে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যায় কি না, সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
এ দিন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে বৈঠক করেন হাওড়া পুলিশের কর্তারা। ডিসি (সদর) অজিত সিংহ যাদব বলেন, “হাওড়ার বেশির ভাগ এটিএমে রক্ষী নেই। ব্যাঙ্ককর্তারা জানান, আর্থিক সমস্যায় রক্ষী রাখা সম্ভব হয়নি।” লালবাজারের খবর, ২০১৮ সালের মে মাসে জালিয়াতির পরে থানাগুলিকে তাদের এলাকার এটিএম কাউন্টারের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। এ বারের টাকা লোপাটের পরে ফের সেই নির্দেশ জানিয়ে থানাগুলিকে তৎপর হতে বলেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy