Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Budget 2024-25

রাজ্য সঙ্গীতের ‘অবমাননা’! স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস তৃণমূলের, শুভেন্দু-সহ বিজেপির ছ’জন নিশানায়

তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টাপাধ্যায় ও মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শুভেন্দু-সহ ছ’জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে নোটিস জমা দেন।

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী।

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৭
Share: Save:

বিধানসভা বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে বিজেপির ছ’জন বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনল শাসক তৃণমূল শিবির। বৃহস্পতিবারের ঘটনার জেরে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, শিখা চট্টাপাধ্যায়, বঙ্কিম ঘোষ এহং তাপসী মণ্ডলের বিরুদ্ধে রাজ্য সঙ্গীতের অবমাননা, বাধাদান ও অধিবেশনে গোলমালের অভিযোগে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টাপাধ্যায় ও মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে নোটিস জমা দেন। স্পিকার নোটিসটি গ্রহণ করে বিধানসভায় পড়ে শোনান। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এই নিয়ে মোট ছ’বার স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনা হল। ওদের এই সব পদক্ষেপকে আমরা তোয়াক্কা করি না। মানুষের কথা বলতে এসেছি, মানুষের কথা বলে যাব।” অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখ্যসচেতক নির্মলের মন্তব্য, ‘‘বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই বিজেপি বিধায়কেরা গোলমাল করছিলেন। রাজ্য সঙ্গীতের সময় বাধা দিলেন। বাজেট পেশ করার সময় বার বার অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে বাজেট পেশ করতে আটকানোর চেষ্টা করলেন। তাই এই সব ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব জমা দিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাজেট পেশের আগে বাংলার রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ বাজাতে বলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান। সেই মতো গান বাজতে শুরু করে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন অধিনায়ক’ গাইতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। গলা মিলিয়ে নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই গান নিয়ে দুই শিবিরের লড়াই বাধে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অধিবেশন কক্ষে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জাতীয় সঙ্গীত আমরাও গাই, তবে সবচেয়ে শেষে। এই ভাবে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করেছে বিজেপি। এই ঘটনার নিন্দা করছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy