রবিবার বিধান ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে পর্যবেক্ষক গোলাম আহমেদ মিরের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। নিজস্ব ছবি।
বিধান ভবনের ‘পরশপাথর’ তিনি। সেই ‘পরশপাথরে’র ছোঁয়ায় ‘একলা চলো’র মন্ত্র নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস। শনি-রবিবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা তথা বাংলার কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গোলাম আহমেদ মীর রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দু’দিন বৈঠক করলেন। জানার চেষ্টা করলেন কী ভাবে বাংলার এমন ঝিমিয়ে থাকা সংগঠনকে চাঙ্গা করা যায়? পরে বিধান ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে মীর জানালেন, জোট ইন্ডিয়ার শরিকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে নয়, বাংলায় একক ভাবে পথ চলেই নিজের পায় দাঁড়াতে চায় বাংলার কংগ্রেস।
দিল্লি দখলের লড়াইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ইন্ডিয়ার শরিক হয়েছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল এবং সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। কিন্তু দিল্লি বাড়ির লড়াইয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের বাংলায় জোট হলেও, তৃণমূল চলেছিল নিজের পথেই। তাতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে ২৯ হলেও, কংগ্রেস দুই থেকে একে নেমে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে শুভঙ্কর সরকারকে বসাতেই ফের রাজ্য রাজনীতিতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের।
প্রসঙ্গত, এআইসিসির রাজনীতিতে মীরকে জোট রাজনীতির দক্ষ কারিগর হিসাবে গণ্য করা হয়। নিজভূম জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট করে বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা নিয়েছিলেন মীর। জোটের প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে দুরু বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা হয়েছেন। আবার সদ্যসমাপ্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে দ্বিতীয় বার বিজেপিকে পরাস্ত করতে সফল হয়েছেন তিনি। তাই জোট নিয়ে প্রশ্ন করায় গোলাম মীর বলেন, ‘‘আপাতত আমরা পশ্চিমবঙ্গে একক ভাবে পথ চলে নিজেদের সংগঠন জোরদার করতে চাইছি। তাই এখন আমাদের সংগঠন মজবুত করতে হবে। ভোটের সময় যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন তা নিয়ে ভাবা যাবে।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্করও মীরের জোড়া সাফল্যের কথা সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করেছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘মীর সাহেবের নেতৃত্বে আমরা ভাল ফল করে দেখাব।’’ সেই পথে চলার জন্য ন’দফা একটি কর্মসূচিও তৈরি করে দিয়েছেন মীর এবং পশ্চিমবঙ্গে দুই সহ-পর্যবেক্ষক অম্বা প্রসাদ এবং আসিফ আলি খান। বৈঠক শেষে বিধান ভবনের বাইরে হাজির এক নেতার কথায়, ‘‘এখন ঘুরে দাঁড়াতে আমাদের ভরসা কেবল গোলাম মীরের সাম্প্রতিক সাফল্যের পরিসংখ্যান। তাঁর ছোঁয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস কতটা সাফল্য পাবে, তাতে বোঝা যাবে তিনি সফল না ব্যর্থ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy