—ফাইল চিত্র।
আলিপুরদুয়ারের ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো কয়েক মাস আগেই অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। সেই বনবাংলো দ্রুত তৈরি করতে চায় বন দফতর। সম্প্রতি নতুন বনবাংলো তৈরি করার জন্য নকশা জমা পড়েছে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। বন দফতর সূত্রে খবর, মোট চারটি নকশা জমা পড়েছে নবান্নে। প্রস্তাবিত নতুন বনবাংলোর নকশাগুলি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে। চারটি নকশার মধ্যে যেটিতে তিনি অনুমোদন দেবেন, সেই নকশা অনুযায়ী বাস্তবে বাংলো তৈরি করবে বন দফতর। বামফ্রন্ট জামানায় বনের অন্দরে নির্মিত যে কোনও সরকারি অফিস বা বাংলোর নির্মাণের দায়িত্বে থাকত পর্যটন দফতর। কিন্তু হলং বনবাংলোটি পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়ার পর নতুন বাংলো নির্মাণের জন্য উদ্যোগী হয় প্রশাসন। তখনই সিদ্ধান্ত হয় বনের কোর এলাকায় যে কোনও নির্মাণের দায়িত্ব থাকবে বন দফতরের হাতে। সেই নিয়ম মেনেই নতুন বনবাংলো তৈরির নকশা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা দিয়েছে বন দফতর।
হলঙে ঐতিহ্যবাহী বনবাংলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ওই জায়গাতেই একই ধাঁচে আবার নতুন করে একটি বনবাংলো তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন। উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন সংগঠন ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই দাবি জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে বনবাংলো পুনর্নির্মাণের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল, হলং বনবাংলো উত্তরবঙ্গের অন্যতম ‘হেরিটেজ’ বাংলো ছিল। এ বছর ১৮ জুন বিধ্বংসী আগুনে তা পুড়ে গিয়েছে। পুরনো নির্মাণশৈলী, নকশার আদলেই তা তৈরির আবেদন জানানো হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, নকশা অনুমোদনের জন্য উত্তরবঙ্গের ওই সংগঠনটির দাবির কথাও মাথায় রাখছে নবান্ন।
ষাটের দশকের শেষের দিকে তৈরি বাংলোর কাঠের শরীরে জড়িয়েছিল আভিজাত্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু থেকে শুরু করে বিচারপতি— গণ্যমান্য অতিথিদের পছন্দের গন্তব্য ছিল হলং বাংলো। সেই বাংলো আবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে। ডুয়ার্সের জয়ন্তী বাংলোও পুড়ে গিয়েছিল। সেখানে কংক্রিটের নতুন বাংলো হয়েছে। সে বাংলোকে ঘিরে নানা বিতর্কও হয়েছে। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, নদী-জঙ্গল-চারপাশের ভারসাম্য রাখতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক কাঠের বাংলোটি। গভীর অরণ্যে হলং বাংলোটিও ফের কাঠেরই তৈরি হবে সেটাই কাম্য। বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেছেন, ‘‘আমাদের দফতর থেকে চারটি নকশা পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। সেখান থেকে অনুমোদন এলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব। সব ক্ষেত্রেই পরিবেশের কথা মাথায় রাখব আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy