আপাতত পাইকারি বাজার চত্বরেই বসেন খুচরে ব্যবসায়ীরা। তবে টোম্যাটো ও লঙ্কা বাজারে এলে হাঁটাই দায় হয়ে পড়বে।—নিজস্ব চিত্র।
হলদিবাড়ি বাজারের নতুন ভবন তৈরি করার কথা ছিল ২০১৩ সালের মধ্যে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মত কাজ হয়নি। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। আপাতত পাইকারি বাজার চত্বরে ফাঁকা জায়গায় বাজার বসলেও টোম্যাটো বাজারে আসা শুরু হতেই বিপাকে তাঁরা। বাজারে ঢোকার রাস্তা আটকে রোজকার বেচা কেনা চলছে পাইকারি, খুচরো সব ব্যবসায়ীদেরই। মার্চের পরেই পাইকারি বাজারে ঢুকবে লঙ্কা। তখন অবস্থা কী দাঁড়াবে সেই ভাবনায় ব্যবসায়ীরা পুরসভার হস্তক্ষেপ চাইছেন। ব্যবসায়ীদের দুরবস্থার কথা জানা সত্ত্বেও সদুত্তর দিতে পারছে না হলদিবাড়ি পুরসভা। তারা দায় চাপাচ্ছে বাজার তৈরির দায়িত্বে থাকা বেনফিস কর্তৃপক্ষের উপরে। অন্যদিকে বেনফিস কর্তারা পুরসভার দীর্ঘসূত্রিতাকেই দায়ী করেন। পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, খুচরো বাজারের ভবন তৈরির দায়িত্বে রয়েছে বেনফিস। তাঁরা কাজ শেষ করে আমাদের জানালেই ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।” পুর চেয়ারম্যানের অভিযোগ মানতে চাননি বেনফিস কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, পুরসভাই সময়মত জমি দেননি। ফলে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করার ব্যপারে প্রতিশ্রুতি দেন বেনফিসের সহকারী বাস্তুকার অমিত দত্ত। তিনি বলেন, “পুজোর আগেই নতুন বাজার তৈরির কাজ শেষ করে পুরসভাকে হস্তান্তর করে দেব।”
বেনফিস সূত্রের খবর, পুরসভার কাছ থেকে জায়গা পাওয়ার পরে নতুন বাজার-ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩-র অগস্ট মাস থেকে। কাজটির সময় সীমা ধার্য হয়েছে দেড় বছর। বাজার তৈরি করার খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তার নব্বই শতাংশ টাকা বেনফিস দেবে। বাকিটা দেবে পুরসভা। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ার ফলেই কাজে দেরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এবিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে কেউ মুখ খুলতে চাননি। হলদিবাড়ি খুচরো সব্জি এবং মাছের বাজারের ভবন তৈরী করার বরাত পেয়েছে বেনফিস। আর সেই উদ্দেশ্যে গত ২০১২ নভেম্বর মাসে বাজারে থাকা সমস্ত সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয় সামনের পাইকারি বাজারের জায়গায়। এত দিন সমস্যা না হলেও বাজারে টোম্যাটো আসতে শুরু করায় বাজারে জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। হলদিবাড়ির খুচরো সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই দিন বলেন, “আমাদের সাময়িক ভাবে এখানে সরিয়ে আনা হয়েছিল। এখন সমস্যায় পড়েছি। পুরসভা আমাদের দেখুক।” হলদিবাড়ি পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রণব চক্রবর্তী জানান, গত বছর খুব অসুবিধা করে ব্যবসায়ীরা টোম্যাটো এবং লঙ্কার ব্যবসা করেন। এই বছরও একই রকম অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy