শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রতিটি থানায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হল ‘মহিলা হেল্প ডেস্ক’। এক সপ্তাহ ধরে চালু এই ডেস্ক সাড়া জাগিয়েছে শিলিগুড়ির সাধারণ মানুষদের মধ্যেও। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হলেও স্থায়ী ভাবে এই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন। এই ব্যবস্থার ফলে মহিলারা উপকৃত হবেন বলে মত পুলিশ কর্তা থেকে সকলেরই। খুব শীঘ্রই স্থায়ী ভাবে এই ডেস্ক খুলে দেওয়া হবে বলে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়িতে একটি মহিলা থানা থাকা সত্ত্বেও কেন আলাদা করে মহিলা ডেস্ক? পুলিশ কমিশনার বলেন, “দূরত্বের কারণে অনেক অভিযোগ মহিলা থানায় আসেনই না। আবার সাধারণ থানায় মহিলারা সব অভিযোগ জানাতে কুণ্ঠা বোধ করেন।” শিলিগুড়ি থানা চত্বরে রয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের একমাত্র মহিলা থানা। ফলে বাগডোগরা বা মাটিগাড়া থানার অনেক অভিযোগকারী দূরত্বের কারণে আসতে চান না বলে অভিযোগ। পরে এলেও মামলা করতে দেরি হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার কারণে অপরাধকারীকে ধরতে হেনস্থা হতে হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই সমস্ত সমস্যার কথা মাথায় রেখেই মহিলা হেল্প ডেস্ক চালুর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। তাতে ভাল সাড়াও মিলেছে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি ওজি পাল। তিনি বলেন, “থানায় এসে মহিলারা এখন অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ। ওই হেল্প ডেস্কে শুধু অভিযোগ শোনাই নয়, কোনও মহিলা এলে তাঁকে জল খাওয়ানো থেকে শুরু করে ধাতস্থ করে মানসিক জোরও দেওয়া হয়।” এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক দীপাপ প্রিয়াও। তিনি জানান, পুলিশের এই উদ্যোগ মহিলাদের ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করবে।”
আপাতত একটি টেবল ও চেয়ার দিয়ে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত দিনের ১২ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এক জন মহিলা পুলিশ কর্মী থাকছেন ডেস্কে। যেখানে মহিলা পুলিশকর্মীর ঘাটতি রয়েছে সেখানে সিভিক পুলিশ দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যেই এর স্থায়ী সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার। ২৪ ঘন্টাই এই হেল্প ডেস্ক চালু রাখা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। খুব শীঘ্রই পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য জ্যোৎস্না অগ্রবাল। তিনি বলেন, “পুলিশের এই উদো্যগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এতে মহিলারা আরও বেশি করে নিজেদের সমস্যা খোলা মনে পুলিশের কাছে তুলে ধরতে পারবে। এতে অপরাধীদের ধরতে সুবিধা হবে।” এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরাম সম্পাদক অমিত সরকার ও কাঞ্চনজঙ্ঘা উদ্ধার কেন্দ্রর প্রতিনিধি রঙ্গা সোরিয়াও। রঙ্গাদেবী বলেন, “এই ভাল উদ্যোগের ফলে নাবালিকা এবং কিশোরীদের উদ্ধার করে পুলিশের সাহায্য নিতে সুবিধা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy