Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
সংগঠনের সদস্য বাড়াতে আসরে নেমেছে তৃণমূল

বদলি বাতিল নিয়ে বিতর্ক

শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আগের চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্তীর আমলে একযোগে ২৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অস্থায়ী ভাবে বদলির নির্দেশ বাতিল করা হল। সমরবাবুর জায়গায় যিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন, সেই মুকুল ঘোষের উদ্যোগে ওই বদলি বাতিল হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪৬
Share: Save:

শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আগের চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্তীর আমলে একযোগে ২৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অস্থায়ী ভাবে বদলির নির্দেশ বাতিল করা হল। সমরবাবুর জায়গায় যিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন, সেই মুকুল ঘোষের উদ্যোগে ওই বদলি বাতিল হয়েছে। এক বছরের মধ্যে অস্থায়ী বদলির নির্দেশ বাতিল করানোর আড়ালে উদ্দেশ্য কি তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যেই নানা আলোচনা চলছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনে যোগ দিলে পরে ফের পছন্দের স্কুলে থাকার সুযোগ মিলবে বলে কয়েকজন নেতা ফোন করছেন। বামেদের অনেকেরই অভিযোগ, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ভোটের আগে গ্রামাঞ্চলের সংগঠনে শিক্ষক-শিক্ষিকা নেতাদের সংখ্যা বাড়াতে আসরে নেমেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।

গত ২১ এপ্রিল স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে ওই বদলির নির্দেশ বাতিলের চিঠি পৌঁছেছে শিলিগুড়ি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদে। বর্তমান চেয়ারম্যান মুকুল বলেন, “প্রাথমিক স্কুলগুলিতে আইনানুযায়ী বিন্যাস করা হচ্ছে। তারই পদক্ষেপ হিসেবে স্কুল শিক্ষা দফতরকে কয়েকটি বিষয় জানানো হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে দফতর থেকে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” যদিও এই পদক্ষেপ বিষয়ে অন্য সদস্যদের কাউকেই কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বেশির ভাগ সদস্যই। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক রঞ্জন শীল শর্মা। তিনি বলেন, “আমরা এই নির্দেশ মানছি না। আগামী ৮ মে আমাদের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে মিছিল করে চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দেব।” এই চিঠির বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানেন না স্কুল শিক্ষা সংসদের অন্যতম সদস্য তথা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার। তিনি বলেন, “সমস্ত কাজ সদস্যদের অন্ধকারে রেখে করা হচ্ছে। চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” এই নির্দেশ সময়োপযোগী নয় বলে মনে করছেন অপর সদস্য তথা সিপিএম নেতা বিকাশকলি বিশ্বাস। তিনি বলেন, “অস্থায়ী বদলি অবৈধ। আমরা আগেই বলেছিলাম। কিন্তু এতদিন এটাই চলে আসছে। ফলে নতুন করে বদলি করে শিক্ষকরা সমস্যায় পড়বে। আমরা এটার বিরুদ্ধে।” তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক বিভাস চক্রবর্তী বলেন, “ সরাকরি নির্দেশ যা এসেছে আমরা তা মেনে নিচ্ছি।” তাঁর দাবি, যাঁরা এটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে, তাঁরা ভিত্তিহীন কথা বলছে। এটা একেবারেই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত।

অন্য বিষয়গুলি:

primary education board siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy