Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

বারাণসীতে থাকা যাবে রাজ পরিবারের তৈরি হাওয়া মহলে

সংস্কারের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। সব কিছু ঠিক থাকলে সামনের জানুয়ারিতেই বারাণসীর ‘হাওয়া মহলে’ থাকতে পারবেন পর্যটকেরা। কোচবিহারের রাজার আমলে তৈরি হওয়া ওই ভবনে রাত্রিবাসের সুযোগও মিলবে। ইতিমধ্যেই ‘হাওয়া মহল’ লিজ দিতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। ২৯-৩১ ডিসেম্বর মদনমোহন মন্দির চত্বর থেকে টেন্ডারের ফর্ম বিক্রির তারিখও চূড়ান্ত হয়েছে।

শেষ পর্যায়ে চলছে সংস্কারের কাজ। নিজস্ব চিত্র।

শেষ পর্যায়ে চলছে সংস্কারের কাজ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০২
Share: Save:

সংস্কারের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। সব কিছু ঠিক থাকলে সামনের জানুয়ারিতেই বারাণসীর ‘হাওয়া মহলে’ থাকতে পারবেন পর্যটকেরা। কোচবিহারের রাজার আমলে তৈরি হওয়া ওই ভবনে রাত্রিবাসের সুযোগও মিলবে। ইতিমধ্যেই ‘হাওয়া মহল’ লিজ দিতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। ২৯-৩১ ডিসেম্বর মদনমোহন মন্দির চত্বর থেকে টেন্ডারের ফর্ম বিক্রির তারিখও চূড়ান্ত হয়েছে।

ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওয়া মহলের মোট ছয়টি ঘরে পর্যটক ও আগ্রহীরা রাত্রিবাসের সুযোগ পাবেন। উপরের তিনটি ঘর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। দৈনিক ভাড়া বরাদ্দ করা হয়েছে আড়াই হাজার টাকা। নীচের তিনটি সাধারণ ঘরের জন্য ভাড়া প্রতি দিন হাজার টাকা করে। কোচবিহারের বাসিন্দারা সেখানে থাকার জন্য মদনমোহন মন্দির থেকে বুকিং করালে ভাড়ায় সর্বাধিক পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। মদনমোহন বাড়ি থেকেও ওই বুকিংয়ের সুবিধে মিলবে। অনলাইনেও বুকিং করা যাবে।

ভবনটির সংস্কার কাজের অগ্রগতি দেখতে এই সপ্তাহেই বারাণসী যাচ্ছেন দেবোত্তর ট্রাস্টের সদস্য তথা কোচবিহারের সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা। তিনি বলেন, “কোচবিহার থেকে ভিন্‌ রাজ্যের ওই ভবন দেখভাল করা থেকে পরিচালনায় নানা সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে। সে কথা ভেবেই ‘হাওয়া মহল’ লিজ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। দ্রুত টেন্ডার ডাকা হবে। জানুয়ারি থেকে সেখানে থাকার বন্দোবস্ত চালু করা হবে। বারাণসীতে বোর্ডের জমিতে অন্য কাজের পরিকল্পনা হয়েছে।”

কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির কর্তারা জানিয়েছেন, ১৮৩৬ সালে কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ বেনারসে গিয়েছিলেন। দেবোত্তর ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাণসীতে রাজাদের আমলে প্রাচীন কালী মন্দির ছাড়াও লোলার্ক কুণ্ড নামে ধর্মীয় স্থান রয়েছে। কালীবাড়ি চত্বরে সোনারপুরা রোডে ওই ভবন তৈরি হয়। কোচবিহারের মহারাজা কিংবা রাজ পরিবারের সদস্যেরা বারাণসীতে গেলে সেখানে থাকতেন। ১৯০১ সালে কোচবিহার স্টেট পিডব্লুডি ভবনটির সংস্কার করেছিল। তার পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই ভবনটি ধুঁকছিল। আশির দশক থেকে ভবনটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। তিন বছর আগে ভবনটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। পর্যটন দফতরের ৫ লক্ষ টাকা ও দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের ১১ লক্ষ টাকা মিলিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ভবন সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করা হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

cooch behar tourism hawa mahal renovation work
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy