হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটি। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট গ্রহণের জন্য তলবি সভা এবং আজ, শুক্রবার সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবের তলবি সভার দিন স্থির হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে দু’টি সভাই বাতিল করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি ও সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে স্বৈরাচার, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি কাজের অভিযোগ তুলে অনাস্থা পেশ করেছিলেন বিরোধীরা। এরপরেই মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সভাপতি এবং সহ-সভাপতি। গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অনাস্থায় তোলা অভিযোগগুলি প্রমাণিত নয় বলে জানিয়ে দেয়। দু’টি সভাই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
চাঁচলের মহকুমাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, “আদালতের নির্দেশে পরপর দু’দিনের তলবি সভা বাতিল করা হয়েছে। যে অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হয়েছিল, তা প্রমাণিত নয় বলেই সভা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ফের নতুন করে অনাস্থা ডাকতে বাধা নেই বলেও আদালত জানিয়েছে।”
সমিতি সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত ভোটে সমিতির ২১টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১৪, ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি এবং কংগ্রেসে ৫টি আসন পায়। সভাপতি হন সিপিএমের জামিল ফিরদৌস। সম্প্রতি সিপিএমের ৬ জন ও ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ সদস্য প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে নির্দল হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে বোর্ডের চার কর্মাধ্যক্ষও রয়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে ওই সদস্যেরা সিপিএম সভাপতি ও সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেন। পঞ্চায়ত সমিতির সভাপতি জামিল ফিরদৌস বলেন, “লোভে পড়ে দলত্যাগ করে উল্টে আমার বিরুদ্ধেই ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অনাস্থা পেশ হয়েছিল। তাই আদালতের দ্বারস্থ হই।” যদিও সিপিএম ছেড়ে নিজেদের নির্দল ঘোষণা করা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়শ্রী কর্মকার বলেন, “আমরা স্বেচ্ছায় দল ছেড়েছি। কোনও লোভে নয়।” কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা রবিউল ইসলাম বলেন, “অনাস্থায় কিছু ত্রুটি থাকায় তা বাতিল হয়েছে। ফের নতুন করে অনাস্থা পেশ করা হবে।”
সোমবারও হাইকোর্টের নির্দেশে একইভাবে পদ ফিরে পান রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভাপতি। তবে সেখানে অনাস্থায় ভোটাভুটি হওয়ার পরে সভাপতি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানেও সভাপতিকে পদের অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তার প্রমাণ না থাকায় অনাস্থা সভা বাতিল করে সভাপতিকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy