Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

পর্যটন বাড়াতে জানুয়ারিতে তাইল্যান্ডে গুরুঙ্গ

দার্জিলিঙের পর্যটন, হর্টিকালচার, ফ্লোরিকালচারের বিকাশের লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারিতে সপার্ষদ তাইল্যান্ড সফরে যাবেন জটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গ। রবিবার গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনে তাইল্যান্ড থেকে আসা ৩৭ জনের প্রতিনিধি দল জিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এদিন তাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরা এদিন দার্জিলিং লাগোয়া সিংতাম এলাকার একটি বুদ্ধ গুম্ফায় যান। বিমল গুরুঙ্গও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। গুম্ফা কর্তৃপক্ষের হাতে চার ফুট উঁচু প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা অর্থমূল্যের একটি ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মূর্তিও তুলে দেন প্রতিনিধিরা।

তাইল্যান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জিটিএ চিফ। ছবি: রবিন রাই।

তাইল্যান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জিটিএ চিফ। ছবি: রবিন রাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩৩
Share: Save:

দার্জিলিঙের পর্যটন, হর্টিকালচার, ফ্লোরিকালচারের বিকাশের লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারিতে সপার্ষদ তাইল্যান্ড সফরে যাবেন জটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গ। রবিবার গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনে তাইল্যান্ড থেকে আসা ৩৭ জনের প্রতিনিধি দল জিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।

এদিন তাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরা এদিন দার্জিলিং লাগোয়া সিংতাম এলাকার একটি বুদ্ধ গুম্ফায় যান। বিমল গুরুঙ্গও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। গুম্ফা কর্তৃপক্ষের হাতে চার ফুট উঁচু প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা অর্থমূল্যের একটি ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মূর্তিও তুলে দেন প্রতিনিধিরা। দার্জিলিঙে প্রস্তাবিত তাইল্যান্ডের একটি গুম্ফা তৈরির জন্য জমির দেওয়ার কথাও জানিয়েছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ।

বৈঠকের পর গুরুঙ্গ বলেন, “বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে পর্যটন, হর্টিকালচার, ফ্লোরিকালচার অন্যতম। আমাদের একটি প্রতিনিধি দল জানুয়ারিতে তাইল্যান্ডে যাবে বলে ঠিক হয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পর্যটন-সহ অন্য বিষয়গুলি কী ভাবে কার্যকরী করা হয়েছে, তা দেখা হবে। সেই মতন আমরাও এখানে কাজ করার চেষ্টা করব।”

জিটিএ সূত্রের খবর, তাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দল প্রাক্তন মন্ত্রী, তাঁদের পরিবারের লোকজন ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার। আবারও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কয়েকজন প্রাক্তনীও ছিলেন। দলের নেতৃত্বে ছিলেন নলিনী তাভাসিন। তাঁদের সঙ্গে তাইল্যান্ডে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীঙ্গলাও এসেছিলেন। গুরুঙ্গ বলেন, “তাইল্যান্ডের মতো এখানে একটি বৌদ্ধ গুম্ফা তৈরি হলে দার্জিলিঙে পর্যটন মানচিত্রে নতুন আকর্ষণ হবে। জানুয়ারির সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।” জিটিএ চিফ আরও জানান, দার্জিলিঙে বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজে তাইল্যান্ডের প্রাক্তনীদের নিয়ে কর্মশালা করা হবে। সেখানে পাহাড়ের ছাত্রছাত্রীরাও থাকবে। ওই দেশের ছেলেমেয়েরা দার্জিলিঙে কোনও সমস্যায় পড়লে পাহাড়ের ছেলেমেয়েরা তাঁদের পাশে যাতে সব সময় থাকে, তা নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা হবে।”

তাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের প্রধান নলিনী বলেন, “আমি নিজে দার্জিলিঙের মাউন্ট হারমন স্কুলে পড়েছি। বহু স্মৃতি এখানে জড়িয়ে রয়েছে। এই এলাকার জন্য আমরা কিছু করতে চাই।” তিনি জানান, এদিন তিনি গুরুঙ্গের হাতে গুম্ফার কাজের জন্য আরও দেড় লক্ষ টাকা, ওষুধপত্র, চশমা এবং ৩০০ ছোট বৌদ্ধ মূর্তি তুলে দিয়েছেন। দার্জিলিঙের বিধায়ক ত্রিলক দেওয়ান বলেন, “তাইল্যান্ড এবং দার্জিলিঙের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বহুদিনের। এদিনের পর তা আরও মজুবত হল।”

অন্য বিষয়গুলি:

tourism gurung darjeeling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy