দুর্নীতির অভিযোগে দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তৃণমূল প্রধানকে অপসারিত করেছিলেন দলের তিন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। পরে তৃণমূলের ওই কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি ও নির্দল সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের চরইনন্তপুর পঞ্চায়েতটি দখলও করেন তাঁরা। তার জেরে দলত্যাগ না করে হুইপ অমান্য করে দলের প্রধানকে অপসারিত করার অভিযোগে শুক্রবার দলত্যাগবিরোধী আইনে পঞ্চায়েত থেকে ওই তিনজনের সদস্যপদ বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বিডিও। অশোক মণ্ডল, মাহমুদা বিবি ও মায়ারানি সাহা নামে ওই তিন জনের অবশ্য দাবি, অন্যায় ভাবে পঞ্চায়েতের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রধানকে কেন্দ্র করে ওই পঞ্চায়েতে দলের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল। কয়েকদিন আগে আমি দু’পক্ষকে নিয়েই বাড়িতে বসেছিলাম। বলেছিলাম, মিলেমিশে কাজ করতে। কিন্তু দলের হুইপ অমান্য করে দলের তিন নিবার্চিত সদস্য কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানকে সরিয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছিল। দলবিরোধী কাজ করার জন্য আমরা বিডিওর কাছে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করার আবেদন করি।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে ১৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭টি, কংগ্রেস ৪টি, বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল একটি করে আসন পেয়েছিল। তৃণমূলের ৭ জন ও কংগ্রেসের ২ জন মিলে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেন। এক বছর যাওয়ার আগেই তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। ওই তিন তৃণমূল সদস্য পঞ্চায়েত প্রধান মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। এর পর তাঁরা কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানকে অপসারিত করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই এক সঙ্গে মাহমুদা বিবিকে প্রধান নির্বাচিত করেন তাঁরা।
বিডিও শচীন ভকত বলেন, “দলবিরোধী আইনে ওঁদের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। ওই তিনজন যদি দলত্যাগ করে নির্দল হতেন, তবে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ হত না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy