বুধবারও দিনভর ধূপগুড়ির হিমঘরে অবরোধ চালিয়ে গেল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। হিমঘরের ভিতরে আলু বোঝাই কোনও গাড়ি যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য রীতিমত মাচা বেঁধে রাতভর পাহারা দেওয়ার কাজ চালাচ্ছেন ওই কর্মীরা। অচালবস্থা কাটাতে আজ, বৃহস্পতিবার হিমঘর মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কৃষ্ণেন্দু মোহন্ত। পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের নথিভুক্ত না হয়ে সংগঠনের পতাকা ব্যবহার করে আন্দোলন করা যাবে না বলে ধূপগুড়ির নেতৃত্বকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সোমবার থেকে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের দাবিতে তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের পতাকা ব্যবহার করে ধূপগুড়ির একটি হিমঘর অবরোধ করে রাখে ৮০ জন স্থানীয় শ্রমিক। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্বপন দাস। তিনি নিজেকে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেন। শুধু ওই হিমঘর নয়, উত্তরবঙ্গের অন্যতম আলু বলয় ধূপগুড়ি এলাকার ৯ টি হিমঘরে সিটুর পাশাপাশি তাদের শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীদের কাজের দাবি করেন তাঁরা। বিষয়টি জানার পর আইএনটিটিইউসি-র সভানেত্রী দোলা সেন আন্দোলনকারী স্বপন দাসের দাবি খারিজ করে জানিয়ে দেন, স্বপনবাবু সংগঠনের কেউ নন। বন্ধ বা অবরোধের পথে রাজনীতি হবে না। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কষ্ণেন্দুবাবুকে বিষয়টি দেখে হিমঘর চালু করার নির্দেশ দেন। কৃষ্ণেন্দুবাবুর কথায়, “আজ, বৃহস্পতি বার আমরা আলোচনায় বসব। তবে ওই হিমঘরে স্থানীয় লোকজনকে কাজ দেওয়ার কথা বলেও তা দেওয়া হয়নি। অবরোধের বিষয়ে কেউ আমায় কিছু জানায়নি।” তিনি সংগঠনের কেউ নন বলে সভানেত্রী বিবৃতি দেওয়ার পর স্বপনবাবু’র কথায়, “স্থানীয় লোকজন কী করছে, তারা তা জানেন। আমি আর তাঁদের আন্দোলনের মধ্যে নেই।”
তবে এদিনের বৈঠকের কথা জানেন না হিমঘর মালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ প্রসাদ। তিনি বলেন, “রধূপগুড়ির অবরোধ হওয়া হিমঘরে আলু বোঝাই তিনটি ট্রাক ছেড়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকের কিছু এখনও জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy