অবহেলিত বালুরঘাট হাসপাতাল
পশ্চিমবঙ্গের ২০টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চিত দক্ষিণ দিনাজপুর। তিন দিকে বাংলাদেশ সীমানা। এই জেলায় অবহেলার চূড়ান্ত নিদর্শন বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। বামফ্রন্ট আমলে হাসপাতালে কোনও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে হাসপাতালে কয়েকটি নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে। অথচ নতুন কোনও ডাক্তার নিয়োগ করা হচ্ছে না। জেলার কুমারগঞ্জ, তপন, হিলি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা রোগীরা ঘুষ না দিলে কোনও চিকিত্সা পরিষেবা পান না। আউটডোর বিভাগের অবস্থা আরও শোচনীয়। মূলত গরিব মানুষরাই আউটডোরে দেখান। ডাক্তাররা এখানে ঠিকমত বসেন না। সরকারি ওষুধও পাওয়া যায় না। মর্গেরও বেহাল দশা। অথচ বালুরঘাট-সহ সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুরের সাড়ে ১৭ লক্ষ মানুষের একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল। সীমাহীন দুর্নীতি চললেও হাসপাতালের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন কারণে একের পর এক ডাক্তার হাসপাতাল ছাড়লেও শূন্যপদ পূরণ না হওয়ায় সমস্যা গভীর হয়েছে।। হাসপাতালে ৭২ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে কাজ করছেন অর্ধেকেরও কম। ফলে পরিষেবা তলানিতে পৌঁচেছে।
জয়দীপ গুহ,চকভবানী, বালুরঘাট
অনলাইনে গ্যাস বুকিং
গ্রাহক স্বার্থে বর্তমানে ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানিতে গ্যাস বুকিংয়ে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে একটি অভিযোগ, বহু সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলো বুকিং বা অভিযোগ জানানোর জন্য একটি টোল ফ্রি নম্বর দেয়। কিন্তু ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি গ্যাস বুকিংয়ের জন্য কোনও টোল ফ্রি নম্বরের ব্যবস্থা রাখেনি। তাহলে বুকিংয়ের সময়ে গ্রাহকদের টেলিফোন বা মোবাইলে বাড়তি অর্থ গুনতে হত না। প্রায়ই দেখা যায় বুকিংয়ের জন্য দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে গেলে অনেক সময় দু’তিনবার চেষ্টা করতে হয়। তাতে মোবাইলের ব্যয়ও বাড়ে। আমাদের মতো পেনশনভোগী ও সাধারণ মানুষের পক্ষে সেই ব্যয় বহন করা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়। তাই এই কোম্পানির দীর্ঘদিনের বর্ষীয়ান গ্রাহক হিসেবে আবেদন, তাঁরা যেন গ্যাস বুকিংয়ের জন্য একটি টোল ফ্রি নম্বরের ব্যবস্থা করেন।
অরবিন্দকুমার সেন, মহামায়াপাড়া,জলপাইগুড়ি
চোরাশিকারি
চোরাশিকারিদের হানায় একের পর এক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে। দেশের গর্ব ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন থ্রি-র অন্তর্গত জলদাপাড়া অভয়ারণ্য এবং বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণীরা আর নিরাপদ নয়। মূলত বন পরিচালনার ক্ষেত্রে এক শ্রেণির বনকর্মীদের অপদার্থতাই এর কারণ। প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে বন্যপ্রাণীদের দেহাংশের চাহিদা প্রচুর। এরই আকর্ষণে চোরাশিকারিরা ঘুরেফিরেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৮৫ সালের মধ্যে যত বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই হয়েছে জলদাপাড়ার মূল ভূখণ্ড ময়রাডাঙা, মালঙ্গী, শিশামারা অঞ্চলে। ১৯৮৫-তে জলদাপাড়ায় গন্ডারের সংখ্যা একেবারেই কমে আসায় টনক নড়ে বন দফতরের। এর পর যৌথ বন পরিচালনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুফলও মেলে। কয়েক বছরেই গন্ডারের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যায়। কিন্তু চোরাশিকারের মাত্রা তেমন ভাবে রোধ করা যায়নি। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, মূল ভূখণ্ড ছেড়ে চোরাশিকারিরা আস্তানা গেড়েছে উপ-বনাঞ্চল চিলাপাতা, কোদালবস্তি অঞ্চলে। কারণ মূল ভূখণ্ডের বন্যপ্রাণীরা প্রজনন ঋতুতে এলাকা দখলের লড়াইতে পরাজিত হলেই, তোর্সা নদী পেরিয়ে চিলাপাতার জঙ্গলে পালিয়ে যায়। চিলাপাতার জঙ্গলে সেগুন গাছের সংখ্যা বেশি থাকায়, বন্যপ্রাণীদের আস্তানা ‘ঢাড্ডা’ ঘাস জন্মায় না। ফলে শিকারিরা সহজেই নাগালে পেয়ে গন্ডারদের হত্যা করে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৫ সালের পর থেকে যত বন্যপ্রাণী চোরাশিকারিদের হাতে খুন হয়েছে তার সব ক’টিই ঘটেছে চিলাপাতা, কোদালবস্তি ও মেন্দাবাড়ি প্রভৃতি বনবস্তি এলাকায়। এই সব এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চোরাশিকারিরা। এলাকাটি ভূটান সংলগ্ন হওয়ায় চোরাশিকারিরা সহজেই ভূটানে গা ঢাকা দেয়।
ঝন্টু বড়াইক, সহকারী অধ্যাপক, পূর্বস্থলী কলেজ, শিলিগুড়ি।
প্যাথলজি ল্যাব
শিলিগুড়ি শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর প্যাথলজি সেন্টার গজিয়ে উঠেছে। বিশেষত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ি অতিরিক্ত জেলা হাসপাতাল লাগোয়া স্থানে অসংখ্য প্যাথলজি সেন্টার রমরম করে চলেছে। শিলিগুড়ির নার্সিং হোমগুলিতেও প্যাথলজি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে। তাই চিকিত্সকদের একাংশও নির্দিষ্ট বেসরকারি সেন্টারে পরীক্ষা করিয়ে আনার জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, রক্তপরীক্ষা-সহ নানা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এক সেন্টারের সঙ্গে অন্য সেন্টারের রেট একেবারেই মেলে না। তা ছাড়া সিংহভাগ সেন্টারেই রেট চার্ট টাঙানো না থাকায় রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে যেমন খুশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। এমনকী সরকারি হাসপাতালেও বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারের এজেন্টরা ঘুরঘুর করে। রোগীদের নির্ভুল পরীক্ষা করানোর বিষয়ে নানা প্রলোভন দেখায়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা এসে এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। কোন প্যাথলজি সেন্টার যথার্থ চার্জ নেয়, তা রোগীর পরিজনদের অজানা। বিভিন্ন সেন্টার ঘুরে যাচাইয়ের সময় ও সুযোগও থাকে না। তারই সুযোগ নিচ্ছে একাংশ প্যাথলজি সেন্টার।
হৈমন্তী ভট্টাচার্য, পাণ্ডাপাড়া বৌবাজার, জলপাইগুড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy