বাধা: বিরোধের মুখে স্বাস্থ্যকর্মীরা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
করোনা আক্রান্ত যুবককে বাড়ি থেকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরাইনখণ্ড এলাকায়। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সাবের আলি নামে ওই যুবকের বাড়িতে যান। কিন্তু সাবের হাসপাতালে যেতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। সাবেরের দাবি, স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা এ দিন ফোন করে তাঁকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আজ, সোমবার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এর পরে প্রয়োজনে সাবের নিজেই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হবেন। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা ফিরে আসেন। স্থানীয় ইমাম সরিফুদ্দিন হকের বক্তব্য, ওই যুবক হাসপাতালে না যাওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি মানসকুমার ঘোষের দাবি, ‘‘সাবের গুরুগ্রামে শ্রমিকের কাজ করতেন। ১৩ জুন ফেরেন। ১৫ জুন তাঁর নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়। এ দিন তাঁর পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে।’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ‘‘আক্রান্ত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতে না চাইলে, তা প্রশাসন দেখবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, এ দিন মালদহ মেডিক্যাল থেকে ওই যুবক সহ জেলায় নতুন করে আরও চার জন বাসিন্দার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তাঁদের মধ্যে কর্ণজোড়া পুলিশ লাইনের এক পুলিশকর্মী ও রায়গঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপাড়ার লোহা কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধা রয়েছেন। তাঁদের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে আক্রান্ত আর এক জনের বাড়ি কোথায়, তান নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দফতরের কর্তারা।
পুলিশ জানায়, কলকাতা থেকে পুলিশ লাইনে ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ১৭ জুন ওই পুলিশকর্মীর লালারস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষায় পাঠানো হয়। ওই বৃদ্ধা ১৬ জুন ছেলের সঙ্গে দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরেন। তাঁর ছেলে দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। ১৮ জুন ওই বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলের লালারস পরীক্ষায় পাঠানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy