অভিজিৎ রায়চৌধুরী।
অভিজিৎ রায়চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যু জেলায় দলের কাছে বড় ধাক্কা, বলছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সম্প্রতি নতুন জেলা সভাপতি ঠিক করার মুখে তাঁকে নিয়ে দলের অন্য গোষ্ঠী অভিযোগ তুললেও রাজ্য নেতৃত্ব তা আমল দেননি। গ্রহণযোগ্যতা ছিল বলেই ফের তাঁকে জেলা সভাপতি করা হয়। সময়ে ভোট হলে আগামী মে মাসের আগেই শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট। তাই অভিজিতের নেতৃত্বে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। এখন ওই পদে কাকে বসানো হবে এবং তিনি কতটা তৎপর হবেন তা নিয়ে চিন্তায় দলীয় নেতৃত্ব।
এ দিন দলীয় নেতৃত্ব এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তবে কয়েক দিন পরেই রাজ্য নেতৃত্ব শিলিগুড়িতে এসে দলের স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বসবেন, দলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা সভাপতির ওই পদে উপযুক্ত ব্যক্তি কে হবেন, তা নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন রায়গঞ্জে ছিলেন। সেখান থেকে মৃতদেহের সঙ্গে রাতে শিলিগুড়ি পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘‘শোকের আবহ কাটলে আমরা আলোচনা করব।’’
দলের একাংশ জানায়, কয়েক বছর আগে বিজেপিতে যান অভিজিৎ। সেখানে তাঁর উত্থান শুরু হয়। তৎকালীন বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিজিৎ জেলা সভাপতি (সমতল)-র পদে বসেন। লোকসভা নির্বাচনে দলকে সঠিক নেতৃত্বও দেন।
সম্প্রতি মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে অভিজিতের বিরুদ্ধে লিফলেট বিলি হয়। পছন্দ মতো লোকদের তিনি মণ্ডল সভাপতি করছেন— সরব হয় বিরোধী গোষ্ঠী। জেলা সভাপতি এবং কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। জেলা সভাপতি ঠিক করার প্রক্রিয়া শুরু হলে তা নিয়ে দলে দ্বন্দ্ব চলে। সেই দৌড়ে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ আরও দুই নেতাও ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy