প্রতীকী ছবি।
একেই বাজার আগুন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হল টানা তিন দিনের পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘট। পুজোর মুখে টানা ৭২ ঘন্টার ট্রাক ধর্মঘটের প্রভাব মালদহের জেলা সদর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের দোকান, বাজারের পড়ার আশঙ্কা করছেন আম-আদমি।
তাঁদের দাবি, আনাজ, আলু, পেঁয়াজের দাম এখনও আকাশছোঁয়া। ধর্মঘটের জেরে সে সবের সরবরাহ কমলে বাজারে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাতে কালোবাজারির আশঙ্কাও থাকছে। যদিও পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। অতিরিক্ত তিন টন পণ্য মজুত করতে দেওয়া, রাস্তা সংস্কার থেকে শুরু করে তোলা আদায় বন্ধের দাবিতে এ দিন থেকে বুধবার পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
প্রথম দিনেই পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর, আটমাইল, ইংরেজবাজারের সুস্থানী মোড়, বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, গাজলের মতো এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাকের লাইন দাঁড়িয়ে যায়। গৌড়বঙ্গ ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর ঘোষ বলেন, “অন্যান্য রাজ্যের থেকে আমাদের রাজ্যে তিন টন কম পণ্য মজুতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আমাদেরও সেই অনুমতি দিতে হবে। এ ছাড়া রাস্তায় তোলা আদায়, সড়ক মেরামতের দাবিতে তিন দিনের ধর্মঘট।’’ তাঁর দাবি, প্রথম দিনের ধর্মঘটে ভাল সাড়া মিলেছে।
বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, বর্ধমান থেকে আলু, নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসে মালদহে। উত্তরপ্রদেশ থেকে ডাল, কানপুর থেকে সরষের তেল জেলায় আমদানি হয়। এ ছাড়া আপেল, আঙুরের মতো ফলও ভিন্ রাজ্য থেকে আসে জেলায়। কিছু পরিমাণে মাছও ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় আমদানি হয়। বড় গাড়িতে করে আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে আটা, ডাল, ফল জেলায় আসে। এমন অবস্থায় পণ্য আমদানি তিন দিন মার খাবে। মালদহের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাজক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, “পাইকারি দোকানগুলিতে খাদ্যসামগ্রী কিছুটা মজুত করা গিয়েছে।”ক্রেতাদের অনেকের আশঙ্কা, ট্রাক ধর্মঘটের সুযোগ নিয়ে যাতে বাজারে দাম আর না বাড়ে, সে দিকে নজর রাখতে হবে প্রশাসনকে।মালদহের মহকুমাশাসক (সদর) সুরেশচন্দ্র রানো বলেন, “বাজারগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy