আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলের জোনাল ট্রেনিং সেন্টারে। —নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রতি নাগরাকাটা-চালসার মাঝে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির। দাবি, তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে রেল। ওই হাতি মৃত্যুর জেরে শুক্রবার প্রায় এক বছর পরে ফের ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও সুপারভাইজ়ারদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা করা হল। জানা গিয়েছে, ট্রেন ও হাতির সংঘর্ষ রুখতে কী কী করণীয় এ দিনের কর্মশালায় সে বিষয়টিই চালক, সহকারী চালকদের বোঝানো হয়। আলিপুরদুয়ার জংশনে থাকা জ়োনাল রেলওয়ে ট্রেনিং স্কুলে বন দফতরের সহায়তায় এই কর্মশালা হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের তরফে গত বছরের ১১ অগস্ট ট্রেনের চালক, সহকারী চালকদের নিয়ে এ হেন কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল। তার পরে এক বছরে ওই কর্মশালা নিয়ে উচ্চবাচ্য করা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন গত এক বছরে এ ধরনের সচেতনতামূলক কর্মশালা করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, করোনার প্রকোপের সময় থেকেই এই কর্মশালার ব্যবধান বেড়ে গিয়েছে। তবে এখন থেকে প্রতি দুই থেকে তিন মাস অন্তর এই কর্মশালা করা হবে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই বন দফতরে সঙ্গে সমন্বয় কমিটির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করা হবে। এ নিয়ে সিনিয়র ডিভিশনাল সেফটি অফিসার বিশ্বজিৎ ঝা বলেন, “বর্তমানে ট্রেন ও হাতির সংঘাত আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবুও চালকদের সচেতনতামূলক কর্মশালা আমরা করছি। এ ছাড়া, ‘এলিফ্যান্ট ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম’ যে সব এলাকায় এখনও চালু হয়নি, সেটিও পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে।”
অন্য দিকে, এ দিনের কর্মশালায় বন দফতরের তরফে উপস্থিত ছিলেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজা ভাতখাওয়া রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার অর্ণব মাঝি। কর্মশালা নিয়ে তিনি বলেন, “ট্রেনের চালক বা সহকারী চালকদের নতুন ব্যাচ এলেই এই কর্মশালা হয়। জঙ্গলপথে ট্রেন চালাতে চালকদের কী কী করণীয় সে বিষয় নিয়েই এ দিন কর্মশালায় আলোচনা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy