নিজস্ব চিত্র।
তেমন ঝড় হয়নি, ভারী বৃষ্টিও হয়নি, হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই চা থেকে কৃষি বলয়ে ছড়িয়েছে খুশি। পূর্বাভাসে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করায় আশায় রয়েছেন কৃষকেরা। ঝড়ের পূর্বাভাসে মাঠ থেকে ধান-ভুট্টা কেটে নিতে জরুরি পরামর্শ দিয়েছিল কৃষি দফতর। যদিও ঝড়ের পূর্বাভাস আর না থাকায় এবং বৃষ্টি হবে জানানোয় কৃষি দফতর আপাতত জলপাইগুড়ি নিয়ে নিশ্চিন্ত। বসন্তকাল থেকেই বৃষ্টি নেই জলপাইগুড়িতে। বৃষ্টির অভাবে মাঠেই ফসল শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক চা পাতার উৎপাদনই। প্রথম ‘ফ্লাশের’ চা পাতায় বড় রকমের ক্ষতির পরে দ্বিতীয় ‘ফ্লাশ’ নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং রবিবার রাত থেকে পর্যায়ক্রমে বৃষ্টিতে চা গাছ আরাম পেল বলে মনে করা হচ্ছে। চা বাগানের শ্রমিকদের আশা, টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হবে ডুয়ার্সে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গে। কয়েকদিন সেই বৃষ্টি চলার কথা। জলপাইগুড়ির কৃষি দফতরের সহকারী অধিকর্তা (বিষয়বস্তু) মেহেফুজ আহমেদ বলেন, “বৃষ্টি এখন খুবই প্রয়োজনীয়। ঝড়ের পূর্বাভাসের পরে, ধান কাটা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পাটের খুব ভাল হল। মাটিতে জল পেয়ে পাট চাষ ভাল হবে। আনাজেরও ভাল হবে। চা পাতায় রোগপোকার আক্রমণ কমবে।” কৃষি দফতরের উপঅধিকর্তা (প্রশাসন) গোপাল সাহা বললেন, “অনাবৃষ্টিতে গাছ সে ভাবে বাড়ছিল না। কিছুটা জল পাওয়ায়তে গাছের বৃদ্ধি হবে।“
বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হওয়ায় এবং আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকায় সোমবার এক লাফে জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি কমেছে। জলীয় বাষ্প ভরা হাওয়া বইছে। এই সময়টা চা চাষের পক্ষে খুবই প্রয়োজনীয় বলে দাবি।
ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠনের (সিস্টা) সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বৃষ্টি হবে শুনে, ঝড় আসছে জেনেও ভয় পাইনি। উল্টে, আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, বৃষ্টিও হবে। বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আরও বৃষ্টি চাই, টানা বৃষ্টি হতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy