—প্রতীকী চিত্র।
ধাতব চামচ আগুনে পুড়িয়ে ন’বছরের বালিকার সারা শরীরে ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার নিজের কাকিমার বিরুদ্ধে! ঘটনাটি মালদহের। ওই বালিকার মায়ের অভিযোগ, ছোটদের খেলাধুলা নিয়ে একটি সামান্য গন্ডগোলের জেরে তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁর ন’বছরের কন্যাকে আগুন-গরম চামচ দিয়ে সারা শরীরে ছেঁকা দেন তাঁর জা। ঘটনাস্থলে তিনি এসে পড়লে তাঁকেও ওই গরম চামচ দিয়ে আক্রমণ করেন।
ওই ঘটনায় গুরুতর জখম ওই বালিকাটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। বদলে শুধুমাত্র জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। অন্য দিকে, অভিযুক্ত মহিলাও এই ঘটনার পরে সপরিবার গা ঢাকা দেওয়ায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
গত শনিবার মালদা শহরের ইংরেজবাজার থানার গান্ধী পার্ক এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ ওই বালিকার পরিবারের। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, চার দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল মেয়েটি। সেই খেলা নিয়েই ‘সামান্য গন্ডগোল’ হয়। বালিকার বাবা জানিয়েছেন, খেলতে খেলতে তাঁর ভাইয়ের কন্যার গায়ে কোনও জিনিসে ছেঁকা লেগে গিয়েছিল। তারই ‘প্রতিশোধ’ নিতে ন’বছরের বালিকাকে আক্রমণ করেন তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী।
ওই বালিকার মায়ের অভিযোগ, ‘‘ঘটনাটি যখন ঘটে আমি বাড়ির ছাদে ছিলাম। আমার জা চিৎকার করে গালিগালাজ করতে করতে বাড়িতে ঢোকেন। তার পরে গ্যাসের উনুনে গরম করা চামচ দিয়ে আমার মেয়ের শরীরে ছেঁকা দিয়ে ফোস্কা ফেলে দেন তিনি। আমি বাধা দিতে এলে আমাকেও ওই গরম চামচ দিয়ে আঘাত করেন।’’
এই ঘটনার পর ওই বালিকাকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। ইংরেজবাজার থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনার পরে তিন দিন কেটে গেলেও ওই অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওই বালিকার পরিবারের।
অন্য দিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও। বিশেষ করে মহিলাদের অভিযোগ, এমন নৃশংস ঘটনা তাঁরা আগে দেখেননি। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও পাড়ায় খেলা করে। সেখানে সামান্য গন্ডগোল হলে কেউ কাউকে পুড়িয়ে দেবে, এটা মানতে পারছেন না তাঁরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy