দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এ বছর গরম পড়তেই পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়েছে বেশ কিছু গ্রামে। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভও হয়েছে। এ বছরও নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল জেলার অনেক জায়গায় পৌঁছচ্ছে না বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে প্রশাসন ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাতে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো সম্ভব হয়।
প্রায় তিন বছর হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জলজীবন মিশনের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর পরে এ রাজ্যে কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা এক বছর পিছোনো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলির তুলনায় এই প্রকল্পে অনেকটাই এগিয়ে। কিছু জায়গায় ৭০ শতাংশ, কিছু জায়গায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পুরোটা সচল হতে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর হয়ে যাবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলার কার্যনির্বাহী বাস্তুকার শুভব্রত করের দাবি, কাজ জোর কদমে চলছে। তিনি বলেন, ‘‘পানীয় জল এমন একটা বিষয়, পুরো কাজ শেষ না হলে পাইপে জল চালু করা যায় না।’’ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা আগামী ২৫ বছরের ডিসেম্বর ধরে চলা হলেও প্রশাসন সূত্রের খবর, কুমারগঞ্জ ব্লকের প্রকল্পটিতে আরও দু’মাস বাড়তি সময় লাগবে। সেখানে প্রকল্পের কাজ শুরু হতে নানা কারণে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ। হিলিতেও কয়েকটি জায়গায় রিজার্ভার তৈরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে কাজ। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘দেরি হলে চলবে না। দ্রুত কাজ তুলতে হবে। সেটাই বলা হয়েছে দফতরকে।’’
গরমের সময় জেলার একাধিক ব্লকে জলের স্তর নেমে গিয়ে হাহাকার শুরু হয়। পথ অবরোধের সংখ্যা আরও বাড়লে কী ভাবে তা সামাল দেওয়া হবে? জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, নানা ভাবে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেই এ বছরও কিছু এলাকায় জলের সঙ্কট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)