মরিচিকা, প্রচন্ড গরমে আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন পানিয়াল গুড়ি এলাকায় ৩১ সি জাতীয় সড়কে। নারায়ন দে।
তীব্র দাবদাহ চলছে কোচবিহারে। তার মধ্যেই কেউ খেতে কাজ করছেন, কেউ বা চাঁদি ফাটা রোদে রাস্তায়। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ‘হিট স্ট্রোক’-এ আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখে বিশেষ সতর্কতা স্বাস্থ্য দফতরে। ‘হিট স্ট্রোক’-এর হাত থেকে বাঁচতে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলিতে ওই রোগীদের কথা ভেবে নির্দিষ্ট করে রাখা হচ্ছে শয্যা। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘গরমের কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রত্যেকের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্ত ব্যবস্থা রাখার কথা জানানো হয়েছে।’’ কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদের আশ্বাস, ‘‘এমন রোগীর জন্য শয্যা প্রস্তুত আছে। চিকিৎসার সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে।’’
গত প্রায় এক মাস ধরে গরম পড়তে শুরু করেছে কোচবিহারে। গত কয়েক দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে আবহাওয়া বদল বা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এমন আবহাওয়ায় ‘হিট স্ট্রোক’ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। কোচবিহারের বড় অংশের মানুষ কৃষিজীবী। অনেকেই দিনভর খেতে কাজ করেন। এটা পাট, বোরো ধান, ভুট্টা চাষের সময়। খেতে জল দেওয়া থেকে শুরু করে আগাছা পরিষ্কার, কীটনাশক স্প্রে কৃষকদের করতে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা সময় রোদের মধ্যে কাটাতে হয় তাঁদের। আর একটি অংশের মানুষ শ্রমিক। তাঁরাও দিনভর খোলা আকাশের নীচে নানা কাজ করেন। তাই কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy