Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
kaliachak

নোট বদলালেও বদলায়নি ‘রুট’

বৃহস্পতিবার ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে হাজির করিয়ে বিচারকের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

ফের জাল নোট উদ্ধার, ধৃত।

ফের জাল নোট উদ্ধার, ধৃত। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালিয়াচক শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৮
Share: Save:

চেনা রুটেই মালদহে ফের ‘সক্রিয়’ জাল নোটের কারবারিরা, দাবি রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের। বুধবার রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) অভিযানে জেলায় জাল নোটের হদিস মিলেছে। ওই দিন সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের সুজাপুর বাস স্ট্যান্ডে। ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। পরে, তাকে কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে হাজির করিয়ে বিচারকের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। মালদহ আদালতের সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল বলেন, “পুলিশ জাল নোটের কারবারে জড়িত অভিযোগে ধৃতকে সাত দিনের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল। আদালত সাত দিনেরই পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত নাসিউল শেখ কালিয়াচকের সুজাপুরের বালিহারপুরের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে দু’লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। সে নোটগুলি সবই ৫০০ টাকার। নাসিউল জাল নোট কারবারের অন্যতম কারবারি, দাবি পুলিশের। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “জাল নোটগুলি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ছক ছিল নাসিউলের। ও সে জন্যই বাস স্ট্যান্ডে হাজির হয়েছিল। নাসিউলকে সঙ্গে নিয়ে জেলার বাইরেও জাল নোট কারবারের ঘটনায় অভিযান চালানো হবে।”

পুলিশ সূত্রে খবর, নোটবন্দির আগে জেলায় জাল নোট উদ্ধারের ঘটনা রোজকার বিষয় ছিল। নোটবন্দির বছর দু’য়েক পর থেকে ফের জেলায় জাল নোটের কারবার শুরু হয়। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, এসটিএফ জাল নোটের কারবার রুখতে তৎপর হয়। এ ছাড়া, সীমান্তেও কড়া নজরদারি শুরু হয়। তার পর থেকে করোনার সময়ে জেলায় জাল নোট কারবার কিছুটা হলেও থিতিয়ে যায়, দাবি পুলিশ কর্তাদের একাংশের। তবে গত ডিসেম্বর মাস থেকে জেলায় একাধিক জাল নোট উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর এলাকা থেকে একের পরে এক জাল নোট উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।

গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশের শিবগঞ্জ হয়ে মালদহের দৌলতপুর, শোভাপুর, শব্দলপুর দিয়ে জাল নোট এ পারে আসছে। পরে, জাতীয় সড়ক কিংবা রেলপথ দিয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও ‘নাকা চেকিং’ সর্বত্রই বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। তিনি বলেন, “সীমানাগুলিতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চলছে। এ ছাড়া, নাকা চেকিংও করা হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

kaliachak Fake currency CID
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy