গরমে রাস্তা ফাঁকা। নিজস্ব চিত্র
ইদের ছুটির সকালে জলপাইগুড়িতে গরমের ইনিংস শুরু হয়েছিল ৩১ দিয়ে। দুপুরে যা পৌঁছে গেল ৪১ ডিগ্রিতে। সোমবার জলপাইগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সেটাই। যা সাম্প্রতিক কালের নজির বলে দাবি আবহাওয়া দফতরের।
শ্রাবণের এই তীব্র গরমে শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলো সকাল থেকেই সুনসান ছিল। দোকান বাজার অধিকাংশ খোলা থাকলেও ভিড় কম ছিল। যদিও ঠাসা ভিড় দেখা গিয়েছে বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকানগুলোতে। বিভিন্ন দোকান এবং বিপণী থেকে যা খবর মিলেছে, তাতে জলপাইগুড়ি শহরে শুধু এ দিন রেকর্ড সংখ্যক বাতানুকূল যন্ত্র, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাখা বিক্রি হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের তাপমাত্রা জলপাইগুড়ির এই সময়ের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙেছে। যবে থেকে সরকারি ভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ শুরু হয়েছে সে দিন থেকে ধরলে সোমবারের তাপমাত্রাই ছিল অগস্টের সর্বোচ্চ।
জলপাইগুড়ি জেলার সর্বত্রই এ দিন তাপমাত্রা চড়া ছিল। গরমে বুনোদের কী অবস্থা হয় তার জন্য বন দফতর পরিদর্শন চালায় বলে দাবি। চাপরামারি এবং গরুমারার জলাশয়ে বেশ কয়েক বার গন্ডারদের জল খেতে আসতে দেখেছেন বনকর্মীরা। গরমে হাসফাঁস করেছে বন দফতরের পোষা কুনকি হাতিগুলিও। বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গরমে বুনোদের যাতে জলকষ্ট না হয় তার দিকে নজর রাখা হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত অগস্ট মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ১৯৮৭ সালের। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী সে বছরের ৩০ অগস্ট তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮ ডিগ্রিতে। সোমবারে তাপমাত্রার পারদ সে সব ছাড়িয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ৪১ ডিগ্রির ঘরে পারদ পৌঁছলেও তা স্থায়ী হয়েছিল পঁয়তাল্লিশ মিনিট। দুপুর দুটোর পর তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছয়। তীব্র গরমে মানুষ নাকাল হয়েছেন, সেই সঙ্গে সোশাল মিডিয়াতেও নানা বার্তা চলেছে। কেউ ক্রমাগত গাছ কাটাকে দায়ী করেছেন, কেউ বা হাসি-ঠাট্টাও করেছেন।
শহরের উকিলপাড়া, শিল্পসমিতি পাড়া, ডিবিসি রোড, মার্চেন্ট রোড এবং দিনবাজারের পাঁচটি বড় বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানের হিসেব এ দিন সকাল থেকে ৩২টি বাতানুকুল যন্ত্র বিক্রি হয়েছে। সেই যন্ত্র বাড়ির দেওয়ালে লাগানোর লোক খুঁজতে শুরু হয়েছে টানাটানি। একটি বেসরকারি পরিষেবা কেন্দ্রের কারিগরী কর্মী দিলীপ রায় বললেন, “সোমবার ১২টি বাড়িতে বাতানুকুল যন্ত্র বসানোর ডাক এসেছিল। ৯টি বসাতে পেরেছি।”
বিকেলের পর কিছুক্ষণ ঝোড়ো হাওয়া এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। তাতে তাপমাত্রা খানিকটা কমে। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছেন বাসিন্দারা।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে অবশ্য আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy