পরিদর্শন: আত্রেয়ীর তীরে রাজেন্দ্র সিংহ। রবিবার কুমারগঞ্জের সমজিয়ায়। রবিবার নদীরক্ষার ডাক দিয়ে বালুরঘাটের নাট্যতীর্থ মঞ্চে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। নিজস্ব চিত্র
আত্রেয়ীর উপর দেওয়া রবার বাঁধকে ‘হাইড্রোজেন বোমা’র সঙ্গে তুলনা করলেন ভারতের ‘ওয়াটারম্যান’ বলে পরিচিত রাজেন্দ্র সিংহ।
রবিবার নদীরক্ষার ডাক দিয়ে বালুরঘাটের নাট্যতীর্থ মঞ্চে আয়োজিত সভায় রাজেন্দ্র বলেন, ‘‘কৃত্রিম ভাবে নদীতে বাঁধ দিয়ে জল আটকে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করা হচ্ছে।’’ এটা মানবিকাধিকারের উপরেও হামলার শামিল বলে ‘হাইড্রোজেন বোমা’র সঙ্গে এটির তুলনা করেন তিনি। প্রবাহিত হওয়া নদীর অধিকার এবং সেটিকে কোনও দেশ বা রাজ্য নিয়ন্ত্রিত করতে পারে না বলেও মনে করিয়ে দেন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে ভূষিত রাজেন্দ্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের সমজিয়া থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের মোহনপুরে আত্রেয়ীতে আড়াআড়ি রবার বাঁধ দেওয়া হয়েছে। সেটি দিয়ে জল আটকানোর অভিযোগ প্রসঙ্গেই তিনি ওই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের দিকে আত্রেয়ীর উৎসমুখে ওই বাঁধ দেওয়ার ফলে বালুরঘাটে জল শুকিয়ে বিপন্ন হয়ে পড়েছে নদী। সমস্যায় জেলার পুনর্ভবা, টাঙ্গন ও যমুনা নদীও।
এ দিন সকালে বালুরঘাটে পৌঁছে রাজেন্দ্র গঙ্গারাপুরের পুনর্ভবা ও টাঙ্গন পরিদর্শন করেন। এর পরে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ তপন ব্লকের মজে যাওয়া তপন দিঘিও ঘুরে দেখেন তিনি। ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। রাজস্থানের ৭টি মৃতপ্রায় নদীকে দীর্ঘ ৩৬ বছরের চেষ্টায় কী ভাবে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, তা ভিডিয়ো প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিশদে ব্যাখ্যা করেন রাজেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের উষ্ণায়নে চিন্তিত না হয়ে স্থানীয় ভাবে উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে।’’
নদীরক্ষার ওই আলোচনা সভায় সাংসদ সুকান্তের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী, পরিবেশকর্মী ও অন্যান্য বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। তাঁদের রাজেন্দ্র জানান, সরকার ও প্রশাসনের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে নদীরক্ষায় বাসিন্দাদের নিয়ে কাজে নামতে হবে। অবিলম্বে ওই রাবার বাঁধ ওঠানোর দাবি তোলারও পরামর্শ দেন রাজেন্দ্র। ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি নদীতে চেকবাঁধ গড়ে সারাবছর জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করতেও উৎসাহ
দেন তিনি।
সুকান্ত জানান, আত্রেয়ী রক্ষায় তাঁর পক্ষে যতটা করা সম্ভব, তিনি তা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy