জলবন্দি মন্ত্রী গৌতম দেবের গাড়িও। ছবি: সন্দীপ পাল।
প্রবল জলস্রোতে মেচি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল নদীর লাগোয়া শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি এলাকার বিরাট এলাকা। জলপাইগুড়িতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা ও জলঢাকা নদীর জল। ময়নাগুড়িতে তিস্তার দু’টি বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে।
এ দিন সকালে দোমহনীতে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ এ ছাড়াও সংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা৷ জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকাতেও হলুদ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমেধা প্রধান জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর প্রশাসন নজর রেখেছে।
ভোরে শিলিগুড়িতে মহানন্দার জল বাড়তে থাকায় নদীর ধারে থাকা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল ঢুকে পড়ে। ১-৫ নম্বর ওয়ার্ড, ১০, ৩১, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গানগর, সন্তোষীনগর, নিচপাড়া, মহাকালপল্লির একাংশে জল ঢুকে যায়। মহানন্দা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সকাল ৮ টায় ফুলবাড়ি ব্যারেজের সমস্ত লক গেট খুলে দেওয়া হয়। তাতে বেলা ১০ টার মধ্যেই জল নেমে যায়। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন ৷
জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী নদীর জলে শিলিগুড়ি পুরসভার, ৩৬, ২৩ এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শান্তিনগর, মধ্যশান্তিনগর, দেবাশিস কলোনি, দাসনগর কলোনির বহু বাড়িতে ঘরের ভিতরে জল ঢুকে পড়ে। দুপুর পর্যন্ত ঘরের মধ্যে জল ছিল। বিকেলের দিকে জল নামে। এলাকার বাসিন্দা, মিতালি দাস, সোমা দত্ত, ধবল শীল, কানাই দাসদের অভিযোগ, ঘরে জল ঢুকে পড়ায় রান্না করা যায়নি। পুরসভার তরফেও তাদের কাছে ত্রাণ না পৌঁছনোয় অনেকে দুর্ভোগে পড়েন। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন কথা হয়েছে। তাকে বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।’’ মাটিগাড়ায় বালাসন নদীর ধারে শিশাবাড়ি, চৈতন্যপুর এলাকায় নদীর ভাঙনের জেরে অনেক পরিবার বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে, ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ, পদমতি, দোমহনি, ধর্মপুরের মতো এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ময়নাগুড়ি ব্লক থেকে প্রায় পাঁচশো পরিবারকে সরানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy