পুলিশকে ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় আসল অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হতে শুরু করলেন ধনিরামপুর- ২গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাটপাড় সরুগ্রামের বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নাবালিকার দেহ উদ্ধার পর দু’দিন কেটে গেলেও আসল অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ পুলিশ। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কেউ কেউ ঘটনার পর এলাকায় বসা পুলিশ পিকেটের সামনে বিক্ষোভও দেখান।
নিহত নাবালিকার বাবা-মায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাদের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা। গত সোমবার, নবমীর সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে পুজো মণ্ডপে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ঘাটপাড় সরুগ্রামের বাসিন্দা দশ বছরের ওই নাবালিকা। একদিন পর মঙ্গলবার দশমীর সকালে পুজো মণ্ডপ থেকে কিছুটা দূরে একটি ক্যানেলের সামনে থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। তার গলায় দাগের পাশাপাশি অন্তর্বাসে রক্তের চিহ্নও মেলে। এরপর নাবালিকার বাবা পুলিশের কাছে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় তিন যুবকের নামও এফআইআর-এ উল্লেখ করেন তিনি। যারা সম্পর্কে আবার তিন ভাই। এফআইআর দায়েরের পরই তিন অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার কোচবিহারে নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তের পর তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের মনেও সন্দেহ দানা বাঁধে, হয়তো ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। এবং এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে তাদের বাইরেও কেউ বা কারা এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। একই সন্দেহ করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই। নৃশংস এই ঘটনায় আসল অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন সরব হন তাঁরা। আসল অপরাধীকে ধরতে না পারলে এলাকা থেকে পুলিশ পিকেট তুলে নেওয়ারও দাবি তোলেন কেউ কেউ।
বুধবার রাতে নাবালিকার বাড়িতে যান ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুরেশ লালা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সন্তোষ বর্মণ সহ তৃণমূলের নেতারা। বৃহস্পতিবার সকালে নাবালিকার বাড়িতে যান বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তিনি অভিযোগ তোলেন, তদন্তে পুলিশের যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে। সেজন্যই তদন্ত একেবারে ধীরগতিতে এগচ্ছে। আর আসল অপরাধী এখনও ধরা পড়ছে না। তবে তৃণমূলের সন্তোষ বর্মণ অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা নিশ্চিত পুলিশ আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করবে।’’ এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধনিরামপুর- ২গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিতাই দাস জানান, প্রতিবাদ মিছিলে আলিপুরদয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার, ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়-সহ অন্যরা উপস্থিত থাকবেন।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্তে পর্যবেক্ষন করছেন জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy