—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বালুরঘাট থেকে আসবেন তিন ভাই। শনিবার সাতসকালে ব্যাগ হাতে বাজারে হাজির রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার বাসিন্দা মালারানি সরকার। তবে মাছ-মাংসের দাম শুনে চোখ চড়কগাছ। তাঁর কথায়, ‘‘ভাইদের ফোঁটা দিয়ে বলি— ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা’। এ বার তো দেখছি বলতে হবে— কাঁটা পড়ুক জিনিসপত্রের দামে! মাছ-মাংস থেকে আনাজপাতি— সব কিছুরই দাম আকাশছোঁয়া!’’
মূল্যবৃদ্ধির কাঁটায় বিদ্ধ গৌড়বঙ্গের তিন জেলা—মালদহ আর দুই দিনাজপুরের সাধারণ সব পরিবারই। এ বার উৎসবের মরসুমের শুরু থেকেই বাজার চড়া। ভাইফোঁটা উপলক্ষে আনাজ, মাছ-মাংসের দাম আরও বেড়েছে বলে দাবি। জেলা এক হলেও ভিন্ন ভিন্ন বাজারে ভিন্ন ভিন্ন দামে আনাজ, মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে। এর জন্য প্রশাসনিক উদাসীনতাকে দুষছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি ‘টাস্ক ফোর্স’ থাকলেও লাভ হচ্ছে না। অভিযোগ, ‘টাস্ক ফোর্স’-এর অভিযান হলেও জিনিসপত্রের দামে কোনও হেরফের নেই।
তবে দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে বলেই জানিয়েছেন তিন জেলার কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকেরা। মালদহের জেলাশাসক বলেন, ‘‘বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’’ মহকুমাশাসক (রায়গঞ্জ) কিংশুক মাইতির বক্তব্য, ‘‘আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে বাজারে প্রশাসনের নজরদারি, টানা অভিযানচলছে।’’ যদিও অভিযানের ছাপ ভাইফোঁটার বাজারে পড়েনি বলেই গৃহস্থদের দাবি। দক্ষিণ দিনাজপুরে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচালঙ্কা, আদার দাম বেশ চড়া। বালুরঘাটের তহবাজারে গিয়ে এক ক্রেতা মিঠুন সরকার বললেন, ‘‘জেলায় চাষ হওয়া ফুলকপির দামও ১০০ টাকা। কাতলা মাছের দাম ৩৫০ টাকা কেজি। দাম এ ভাবে বাড়তে থাকলে মানুষ খাবেন কী!’’ রায়গঞ্জের মোহনবাটী বাজারের আনাজ ব্যবসায়ী কমলেশ সাহার বক্তব্য, ‘‘পাইকারি বাজারে বিভিন্ন আনাজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই খুচরো বাজারে আনাজের দাম বেড়েছে।’’
তথ্য: অনুপরতন মোহান্ত, অভিজিৎ সাহা, গৌর আচার্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy