পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
আচার্যের শোকজ়ের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা আজ, বৃহস্পতিবার। তার ঠিক আগের দিন, বুধবার সেই শোকজ়ের জবাব দিলেন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ওই ঘটনা নিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাতে উপাচার্য দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় আচার্যকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়েই সমাবর্তনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠি আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কেন পেলেন না, তা নিয়ে তাঁরা হতবাক। তা নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইনের প্রতিলিপি ছড়িয়ে আগেই দাবি করা হয়েছিল, উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমেই যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিতে হবে। ওই আইন মেনেই শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি চিঠি দিয়েছেন বলে জানান উপাচার্য। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপালকে যা জানানোর শিক্ষামন্ত্রী জানাবেন।
শোকজ়ের জবাব দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগের দিন এই চিঠি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবশ্য এই বিষয়ে এ দিন অবশ্য তেমন কিছু বলতে চাননি। তিনি এর আগেই জানিয়েছিলেন, আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। তাঁকে সবসময়ই সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে উপাচার্য আরও দাবি করেন, তাঁরা কোনও ভুল করেননি। নিয়ম ও আইন মেনেই তাঁরা আচার্যকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। তার পরেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে যদি কোনও ‘কমিউনিকেশন গ্যাপ’ হয়ে থাকে, তার জন্য তিনি অত্যন্ত দুঃখিত। এ দিন উপাচার্য বলেন, “যা বলার আমি তা আগেই বলে দিয়েছি। সেগুলিই আমার কথা। আচার্যকে আমরা যথাযোগ্য সম্মান দিই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, “আইন মেনেই লিখিত ভাবে সমস্ত বিষয় শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। এর পরে আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।” শিক্ষামন্ত্রী দিন তিনেক আগেই শিলিগুড়িতে এসে বলেছিলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ওটা মিটে গিয়েছে।”
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়। সমাবর্তনের আমন্ত্রণ পত্রে রাজ্যপালের নাম ছিল না। রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, তাঁকে সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপাচার্য পাল্টা দাবি করেন, নিয়ম মেনেই রাজ্যপাল তথা আচার্যকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। কোনও উত্তর না পাওয়ায় আমন্ত্রণপত্রে নাম রাখতে পারেননি। এর পরেই ১৩ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যকে শোকজ করেন আচার্য। ১৪ দিনের মধ্যে তার জবাব চাওয়া হয়। তাঁকে কেন উপাচার্য পদে রাখা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আচার্য। তা নিয়ে হইচই চলার মধ্যে দু’পক্ষই নরম হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
সম্প্রতি লাটাগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, “আমি উপাচার্যদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। যখন আমি উপাচার্যের থেকে জবাব পাব, তখন নিরপেক্ষ ও আবেগহীন ভাবে বিষয়টি দেখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy