শিশু বিক্রি কাণ্ডে এ বার তৃণমূল-বিজেপি নেতানেত্রীদের গ্রেফতারির দাবিতে সরগরম হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর গ্রেফতারির দাবিতে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ চালাচ্ছে তৃণমূল। রবিবার বামেরাও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে মিছিল করেছে। এ দিন বিকেলে তৃণমূল যুব সভাপতি তথা আইনজীবী সৈকত চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেফতারের দাবিতে পোস্টার দেখা গিয়েছে বেগুনটারি এলাকায়। ধৃত চন্দনা চক্রবর্তীর হোমের তরফে দত্তকের একাধিক আবেদনে সৈকতবাবুর সই রয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। সৈকতবাবু এ দিন বিকেলে দাবি করেছেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের সহ জুহি চৌধুরীর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানোর কারণেই বিজেপি তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। ধৃত চন্দনা চক্রবর্তীর লেখা একটি চিঠিও দেখিয়েছেন সৈকতবাবু। ২০১৪ সালে লেখা ওই চিঠিতে সৈকতবাবুর থেকে সব আবেদনের নথি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলা রয়েছে। দত্তক সংক্রান্ত কিছু নথি চেয়েছিলেন বলে হোম থেকে নথিগুলি ফিরিয়ে নেওয়া হয় বলে দাবি সৈকতবাবুর। এ দিন জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষ এবং তাঁর স্বামীর ভূমিকা নিয়েও সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তুলেছেন দ্বীপেনবাবু।
সৈকতবাবুর দাবি আইনজীবী হিসেবে তিনি দত্তকের নথিতে সই করতে পারেন। যখনই তিনি অনিয়ম দেখেছেন সে সময়েই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। সৈকতবাবুর দাবি, ‘‘সিবিআই তদন্তের কথা বলে যাঁরা চেঁচাচ্ছেন তাঁদের বলছি কোনও সংস্থাই তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে আমাকে জড়াতে পারবে না। আমাদের আন্দোলন থামানোর জন্য বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ তুলছে। কেন্দ্রের লাইসেন্স আছে দেখেই প্রথমে দত্তকের আবেদনে সই করতে রাজি হয়েছিলাম। পরে আমাকে নথি না দেখানোয় পিছিয়ে যাই।’’ এ বার থেকে বিজেপি নেত্রীর গ্রেফতারি চেয়ে আন্দোলনের ধার আরও বাড়বে বলে সৈকতবাবুর হুমকি। এ দিকে এ দিন আলিপুরদুয়ারে থাকা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিশু বিক্রি কাণ্ডে দলের নেতার নামে তোলা বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বলেন, “তদন্ত তদন্তের মতো হবে। যাঁর নাম জড়াবে, সে বিষয়টি পরিষ্কার করবে।”
রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ছাড়াও এ দিন শিশু বিক্রির অনিয়মের অভিযোগে আরও দুই নাম নিয়ে চর্চা হয়েছে। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষ এবং তাঁর স্বামীর অনিয়মে জড়িত থাকার অনেক তথ্য প্রমাণ এসেছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি দ্বীপেনবাবু। সাস্মিতা দেবীর স্বামী মৃণালবাবু দার্জিলিং জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক। সাস্মিতাদেবী এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন। মৃণালবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘যে কেউ যে কোনও অভিযোগ করতেই পারে। জলপাইগুড়ির হোমে দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার কোনও এক্তিয়ারই আমার নেই।’’ তবে বিজেপির জেলা সভাপতি দ্বীপেনবাবুর দাবি, ‘‘আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আর্জি জানাতে যাচ্ছি। সেখানেই সব তথ্য প্রমাণ জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy