—প্রতীকী চিত্র।
মাস দেড়েকের মধ্যে আলুর দাম হয়ে গেল দ্বিগুণ! জলপাইগুড়িতে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ টাকা কেজি দরে। কোনও কোনও দিন দর আরও বেশি থাকছে। মাস দেড়েক আগেও প্রতি কেজি জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে কুড়ি টাকা দরে। ভুটান থেকে আসা আলুর দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা কেজি।
স্থানীয় জ্যোতি আলু জলপাইগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকার হিমঘরে থেকে বেরোনোর সময় কেজি প্রতি দাম থাকছে ২০ থেকে ২২ টাকা। সে আলু খোলা বাজারে পৌঁছতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে কেন? অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং ফড়েদের ‘সিন্ডিকেট’-এর কারসাজিতে রাতারাতি দাম বাড়ছে। শুধু আলু নয়, জলপাইগুড়িতে স্কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা কেজি দরে। খোলাবাজারে বাড়তে শুরু করেছে অন্য আনাজের দামও। হঠাৎ করে আনাজের দাম বাড়ছে কেন সে প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। আলু এবং নিত্য প্রয়োজনীয় আনাজের দামের উপরে নজরদারি রাখতে বেশ কয়েক বছর আগে, রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় ‘টাস্ক ফোর্স’ তৈরি করেছিল। সে ‘টাস্ক ফোর্স’-এর নজরদারি আদৌও রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জলপাইগুড়ির স্টেশন বাজার থেকে দিনবাজারে শনিবার আলু বিক্রি হয়েছে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ টাকা কেজি দরে। ক্রেতাদের আশঙ্কা এখনই আলুর বাজা এমন চড়া থাকায়, মাস দু’তিনেক পরে যখন হিমঘর খালি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন আলুর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে। প্রশ্ন উঠেছে, দাম বাড়ছে কোথায়?
হিমঘর থেকে এখন যে আলু বের হচ্ছে ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, তার দাম পড়ছে কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৯ টাকা, কোথাও ২০ থেকে ২২ টাকা। সে আলু বাজারে আসার পরে প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়ে যাচ্ছে কী করে? অভিযোগ, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে গজিয়ে উঠেছে ‘সিন্ডিকেট’। সে ‘সিন্ডিকেট’-এর হাত ধরেই হিমঘর থেকে বেরোনোর পরেই আলুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। হিমঘর থেকে বেরোনোর পরে প্রতি ধাপে আলুর দাম কত হচ্ছে তাতে নজরদারি করার কথা ‘টাস্ক ফোর্স’-এর। কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এ বারে গোড়া থেকেই আলুর দাম বেশি। আমরা নজরে রাখছি।” আলুর দাম বৃদ্ধির খবরে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। মহকুমাশাসক (জলপাইগুড়ি সদর) তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “কৃষি বিপণন দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি।”
কৃষি বিপণন দফতরের দাবি মানলে, জ্যোতি আলু, যা স্থানীয় ভাবে উৎপাদন হয়, তার দাম বেশি হওয়ার কারণ উৎপাদনের সময়েই কৃষকেরা ভাল দাম পেয়েছেন। সে কারণে বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। সে ক্ষেত্রে ভুটান থেকে আসা আলুর দাম কেন পঞ্চাশ টাকা ছুঁয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর নেই। তবে কি ভুটান থেকে আসা আলুর দামও নিয়ন্ত্রণ করছে কোনও ‘সিন্ডিকেট’? ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, হিমঘর থেকে আলু বেরোনোর পরে, ঝাড়াইবাছাই করা হলে অনেক আলু বাদ পড়ে। তাতে ভাল আলুর দাম বেশি পড়ে। তবে যে ভাবে আলুর দাম বাড়ছে তাতে মাসখানেক এমনই চললে, জ্যোতি আলুর দামও না হাফ সেঞ্চুরি করে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন ক্রেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy